দেশের হতদরিদ্র নারীদের জীবন বদলাচ্ছে ‘স্বপ্ন’

দেশের হতদরিদ্র নারীদের জীবন বদলাচ্ছে ‘স্বপ্ন’
দেশের হতদরিদ্র নারীদের জীবন বদলাচ্ছে ‘স্বপ্ন’

ব্রান্ডঃ
‘স্বপ্ন’ (উৎপাদনশীল ও সম্ভাবনাময় কর্মের সুযোগ গ্রহণে নারীর সামর্থ্য উন্নয়ন) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় (এমওএলজিআরডিসি), জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবং ম্যারিকো বাংলাদেশ লি. কর্তৃক যৌথভাবে গৃহীত একটি উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান ও জলবায়ু উপযোগী জীবিকা-ভিত্তিক দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্প।

দেশের হতদরিদ্র গ্রামীণ নারী বিশেষ করে যারা তালাকপ্রাপ্ত, স্বামী-পরিত্যাক্তা, বিধবা বা যাদের স্বামী প্রতিবন্ধী-তাদের ক্ষমতায়নে প্রকল্পটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। ম্যারিকো এই প্রকল্পের অন্যতম প্রধান অংশীদার হিসেবে উপকারভোগীদের টেকসই জীবিকায়নে কাজ করছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক স্বীকৃত দেশের অন্যতম ফ্ল্যাগশিপ সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প হিসেবে ‘স্বপ্ন’ দেশের পাঁচটি দারিদ্র্য প্রবণ ও জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ জেলায় কাজ করেছে। জেলাগুলো হলো; সাতক্ষীরা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, জামালপুর এবং গাইবান্ধা। সূচনালগ্ন থেকেই প্রকল্পটি আশাতীত সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে, যার আওতায় ৫৮৮টি নারী-প্রধান পরিবার তৈরি-পোশাক ও চামড়া খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

এছাড়া বিভিন্ন এন্টারপ্রাইজ যেমন; বিন্দু, সুনিপুণ, কল্যাণী, দেশি, আরেকা, ধরলা গঠনের মাধ্যমে মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে ৩৯৩টি নারী-প্রধান পরিবারের আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, যা টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

প্রকল্পের অভ্যন্তরীন গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের অর্থনীতিতে প্রকল্পের অবদান শতকোটি টাকারও বেশি, যা আয়ের সুযোগ সৃষ্টি এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে ‘স্বপ্ন’ প্রকল্পের সাফল্যকে প্রমাণ করে।

জলবায়ু সহনশীল দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ‘স্বপ্ন’ জলবায়ু ঝুঁকিপ্রবণ পরিবারগুলোকে বস্তা পদ্ধতিতে সবজি চাষ, কেঁচো সার উৎপাদন ইত্যাদি ক্ষুদ্র ব্যবসা পরিচালনায় সহায়তা করেছে।

প্রকল্প এলাকার অন্তর্গত ১৪,৫৬৭ টি দুর্যোগ কবলিত গ্রামীণ সড়ক ও অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের কাজ সম্পাদিত হয়েছে এবং ১৭১টি ইউনিয়ন পরিষদের ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি’র (ইউডিএমসি) ৫,৪৭২ জন সদস্যকে জেন্ডার-সমতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে, যা দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

প্রকল্পের মাধ্যমে ১০১ জন উপকারভোগীর জন্য ঘর বরাদ্দ করা হয়েছে।

এছাড়া, প্রকল্পটি ক্ষুদ্র স্বাস্থ্যবীমা চালু এবং ৩ শতাধিকেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিকের সাথে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে উপকারভোগীদের স্বাস্থ্যসেবায় প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করেছে।

এ প্রসঙ্গে ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রজত দিবাকর বলেন, “স্বপ্ন প্রকল্পের সাফল্য অব্যাহত রাখতে ম্যারিকো প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

‘স্বপ্ন’র সাথে আমাদের সম্পৃক্ততা অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি সাধন এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনে অর্থবহ ভূমিকা পালনে ম্যারিকো’র মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে।

ভবিষ্যতেও এই অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখতে আমরা আশাবাদী।”

-শিশির

FacebookTwitter