ব্যবসা-বাণিজ্যঃ
দেশীয় উৎপাদনমুখী শিল্পের টেকসই বিকাশ নিশ্চিত করতে এবং প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়াতে পণ ̈ গবেষণা ও
উদ্ভাবনে বিনিয়োগ বাড়ানোর ̧গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে ওয়ালটনের আয়োজিত এক আলোচনা সভায়।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে ওয়ালটন আয়োজিত একক
বৃহৎ শিল্পমেলা ‘এটিএস এক্সপো-২০২৪’ এর দ্বিতীয় দিনে “ স্থানীয় উৎপাদনকে শ৩িশালীকরণ: ইলেকটধনিক্স
শিল্পে বাংলাদেশের উত্থান” শীর্ষক এই প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্টিধজ পিএলসি’র সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং বিজনেস কো-অর্ডিনেটর টু
ম্যানেজিং ডিরেক্টর তানভীর আঞ্জুমের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-
চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কামরুল হাসান, বেস্ট ইলেকটধনিক্স লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ তাহমিদ জামান
রাশিক, দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেডের কমার্শিয়াল ডিরেক্টর কামরুল হাসান এবং কেইডি সলু ̈শন লিমিটেডের
ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার মফিজুর রহমান।
প্যাানেল আলোচনায় ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর তানভীর আঞ্জুম বলেন, যেকোন ম ̈ানুফ ̈াকচারিং ইন্ডাস্টিধর টেকসই উন্নতি নির্ভর করে রিসার্চ অ ̈ান্ড ইনোভেশন (আরঅ ̈ান্ডআই) কর্মকা-ের ওপর। দেশীয় উৎপাদনমুখী শিল্পের উন্নতি সাধনেও আরঅ ̈ান্ডআই এর কোনো বিকল্প নেই। এ খাতে ̄’ানীয় উৎপাদকদের প্রচুর বিনিয়োগ করতে হবে।
তিনি জানান, ওয়ালটন শুরু থেকেই রিসার্চ অ ̈ান্ড ইনোভেশনের উপর বিশেষ ̧রুত্ব দিয়ে আসছে। তাই ওয়ালটন
হাই-টেক পার্কে গড়ে তোলা হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহ আরঅ ̈ান্ডআই সেন্টার ও টিম। ওয়ালটনের প্রতিটি
পণে ̈র জন ̈ পৃথক আরঅ ̈ান্ডআই টিম কাজ করছে। বর্তমানে ওয়ালটনের আরঅ ̈ান্ডআই টিমে দেশি-বিদেশী
অত ̈ন্ত দক্ষ ও মেধাবী আড়াই হাজারেরও বেশি প্রকৌশলী কাজ করছেন। তাঁরা নিরলস গবেষণার মাধ ̈মে
প্রতিনিয়ত উঞগ¢াবনী প্রযু৩ি ও ফিচার সমৃদ্ধ পরিবেশবান্ধব নতুন নতুন মডেলের পণ ̈ উৎপাদন করছেন। তাঁদের
গবেষণার ফলশ্রুতিতে ৫০ হাজারেরও বেশি ইন্ডাস্টিধয়াল সলু ̈শন ও কমপোনেন্টস উৎপাদন করছে ওয়ালটন।
সভায় যুগোপযোগি দেশীয় শিল্পবান্ধব পলিসি নির্ধারণের উপর ̧রুত্বারোপ করে এশিয়া প ̈াসিফিক বিশ্ববিদ ̈ালয়ের
ভাইস-চ ̈ান্সেলর প্রফেসর ড. কামরুল হাসান বলেন, দেশীয় শিল্পের জন ̈ প্রয়োজন ব ̈াকওয়ার্ড লি১ে⁄৪জ। এতে
দধুত এগিয়ে যাবে দেশীয় শিল্প। এক্ষেত্রে ওয়ালটন বিশাল উন্নতি সাধন করেছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের ইন্ডাস্টিধ-অ ̈াকাডেমিয়ারের মধে ̈ সমন্বয় সাধনে বিশাল গ ̈াপ রয়েছে, যা দূর করতে
হবে। দেশীয় ইন্ডাস্টিধ ̧লোর উচিত বিশ্ববিদ ̈ালয়ের অ ̈াকাডেমিক কার্যμমে যু৩ হওয়া। পাশাপাশি শিক্ষক-
শিক্ষার্থীদেরকে ইন্ডাস্টিধ পরিচালিত ইন্টার্নশিপ ও গবেষণাসহ নানা কাজে সংযু৩ করতে হবে। এতে ইন্ডাস্টিধর
বা ̄Íব অভিজ্ঞতা গ্রহণ করতে পারবেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা; তেমনি ইন্ডাস্টিধ পাবে দক্ষ জনশ৩ি। এভাবে ইন্ডাস্টিধ-
অ ̈াকাডেমিয়া মিলে গবেষণায় মনযোগ দিতে হবে।
বেস্ট ইলেকটধনিক্স লিমিটেডের ম ̈ানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ তাহমিদ জামান রাশিক বলেন, বাংলাদেশের ইলেকটধনিক্স খাতে গত ৫০ বছরে বড় একটা বিপ্লব হয়েছে। এই রেভু ̈লেশনে ডধাইভিং ফোর্স হিসেবে ছিলো ওয়ালটন। বিশাল ঝুঁকি নিয়ে ওয়ালটন ওই সময়ে ইলেকটধনিক্স খাতে বিনিয়োগ করেছে। বর্তমানে ইলেকটধনিক্স খাতের প্রায় শতভাগ পণ ̈ দেশেই উৎপাদন করছে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান।
সভায় দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেডের কমার্শিয়াল ডিরেক্টর কামরুল হাসান বলেন, দেশের অভ ̈ন্তরে প্রচুর বিদেশি
বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। এতে দেশে থাকা ম ̈ানুফ ̈াকচারারগণই লাভবান হবেন। দেশে কর্মসং ̄’ান সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি গভেষণা ও উন্নয়ন (আরঅ ̈ান্ডডি) খাতেও উন্নতি করতে সক্ষম হবে। আমাদের অভ ̈ন্তরীণ
উন্নতির জন ̈ আরঅ ̈ান্ডডি খুবই ̧রুত্বপূর্ণ। আর এখানেই আমাদের বিনিয়োগ খুবই কম। এসব দিকে উন্নতি
করতে পারলে ইলেকটধনিক্স খাতে আমাদের দেশও দ্বিতীয় চায়না হতে পারবে শিগিগ্রই।
কেইডি সলু ̈শন লিমিটেডের ম ̈ানেজিং ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার মফিজুর রহমান বলেন, বিদু ̈ৎ সাশ্রয়ী পণ ̈ উৎপাদনে
দেশীয় উৎপাদক প্রতিষ্ঠান ̧লো অনেক এগিয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে ওয়ালটন। পরিবেশ সুরক্ষা
নিশ্চিত করে দেশেই নিজ ̄^ প্রোডাকশন প্ল ̈ান্টে নানাধর্মী বিদু ̈ৎ সাশ্রয়ী পণ ̈ যেমন এয়ার কন্ডিশনার, ফ্রিজ, লিফট,
টিভি, ফ ̈ান তৈরি করছে ওয়ালটন। ব ̈াপক গ্রাহকপ্রিয়তা পাচ্ছে ওয়ালটনের এসব পণ ̈।
উল্লেখ ̈, ওয়ালটনের উৎপাদিত ৫০ হাজারের অধিক ইন্ডাস্টিধয়াল সলু ̈শন ও কম্পোনেন্টস দেশি-বিদেশি
শিল্পোদ ̈া৩া ও μেতাদের নিকট তুলে ধরার মাধ ̈মে আমদানি নির্ভরতা হ্রাস করে বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদধা
সাশ্রয়ের লক্ষে ̈ এটিএস এক্সপো আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় দেশীয় বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে
ব ̈াপক সাড়া পাচ্ছে ওয়ালটন।
-শিশির