মিলি সুলতানা, কুইন্স, নিউইয়র্ক থেকেঃ
যতই ভারতীয়দের সমালোচনা করিনা কেন দেশপ্রেমের দিক দিয়ে তারাই এগিয়ে। দেশে দুর্যোগের দেশের স্বার্থে ভারতীয়রা যে যার অবস্থান থেকে সর্বস্ব নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

বিশ্বে এখন করোনাভাইরাস প্যানডামিক। ভারতীয়রা এখন বিজেপি কংগ্রেসের হিসেব কষছেনা আওয়ামী লীগ বিএনপির মত উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপাচ্ছেনা।

টাটা গ্রুপের রতন টাটা করোনা মোকাবেলায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। একহাজার পাঁচশো কোটি রুপি তিনি নরেন্দ্র মোদির করোনা ফান্ডে দান করেছেন। এটাই সত্যিকারের দেশপ্রেম।

অন্যদিকে মুকেশ আম্বানি গ্রুপ রাতারাতি করোনার চিকিৎসার জন্য তৈরি করে ফেলল রিলায়েন্সের করোনা হাসপাতাল । মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে তারা এই হাসপাতাল বানিয়ে ফেলেছে। দেশের প্রথম এই করোনা হাসপাতাল তৈরি করেছে মুকেশ- নীতা আম্বানির রিলায়েন্স গ্রুপ।

এই হাসপাতালে একসাথে ১০০ জন করোনা রোগীর চিকিৎসা করা যাবে।

এছাড়াও মুকেশ আম্বানি প্রেসিডেন্ট মোদির তহবিলে ৫০০ কোটি রুপি অনুদান দিয়েছেন।

এছাড়াও প্রতিদিন চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য একলাখ মাস্ক সরবরাহ করবে। ইমার্জেন্সিতে ব্যবহার হবে যেসব যানবাহন, সমস্ত ফুয়েল ফ্রি করে দিয়েছে। অকশয় কুমার দান করেছেন ২৫ কোটি রুপি। অকশয়ের এই অনুদানের খবরে সারপ্রাইজড হয়েছেন তার ইন্টেরিয়র ডিজাইনার স্ত্রী টুইংকেল খান্না (রাজেশ খান্না -ডিম্পল কাপাডিয়ার বড়কন্যা)। তবে তিনি বলেছেন স্বামীর এই পদক্ষেপ তাকে গর্বিত করেছে।

আমাদের দেশের ধনী মহাজনের মধ্যে কেউ কেউ ম্যারাথন গতিতে মাঠে নেমেছেন। বেক্সিমকোর অলরাউন্ডার সালমান এফ রহমান সাহেব সবসময় চার-ছক্কা হাঁকিয়ে অসহায় মানুষের মাথা ফাটিয়ে দু’খান করে এদ্দুর এসেছেন। তিনি যদি ১৫/২০ কোটি টাকা দেনও, ব্যাংক থেকে দ্বিগুণ হাতিয়ে নেবেন। নিজের স্বার্থ ছাড়া উনারা জনস্বার্থের কোনো কাজেই লাগেন না।

-শিশির

FacebookTwitter

About Bangla Daily

একটি পরিপূর্ণ বাংলা অনলাইন পত্রিকা। মাতৃভাষার দেশ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সস্প্রচারিত হচ্ছে।

View all posts by Bangla Daily