দেশজুড়ে ৬০টি পৌরসভার ভোটগ্রহন চলছে

দেশজুড়ে ৬০টি পৌরসভার ভোটগ্রহন চলছে
দেশজুড়ে ৬০টি পৌরসভার ভোটগ্রহন চলছে

নির্বাচনঃ
দেশের ৬০টি পৌরসভায় দ্বিতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ ১৬ জানুয়ারি, শনিবার সকাল আটটায় শুরু হয়েছে এই ভোটগ্রহণ, যা টানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

শীতের সকালে ভোটারদের নগণ্য উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি বাড়ার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ভোটের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এদিকে এ ধাপের নির্বাচনের আগে সরগরম ছিল ভোটের মাঠ। বেশ কয়েক জায়গায় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে গেছে।

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় নির্বাচনী প্রচারণার সময় সংঘর্ষে একটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীর ভাই নিহত হন। একই ওয়ার্ডের অপর কাউন্সিলর প্রার্থীও নিহত হয়েছেন।

দ্বন্দ্বপ্রবণ এলাকাগুলোতে সংঘাতের আশঙ্কায় আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

দ্বিতীয় ধাপে ৬১টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও নীলফামারীর সৈয়দপুরে মেয়র পদের স্বতন্ত্র প্রার্থী (নারিকেল গাছ প্রতীক) মো. আমজাদ হোসেন সরকারের মৃত্যুতে ওই পৌরসভার ভোট স্থগিত করা হয়।

আর ৬০টি পৌরসভার মধ্যে ২৯টিতে ভোট নেওয়া হচ্ছে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। বাকি ৩১টিতে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চলছে।

ইভিএমের মাধ্যমে যেসব পৌরসভায় ভোট নেয়া হচ্ছে, সেগুলো হলো—দিনাজপুরের বীরগঞ্জ, বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও সান্তাহার, নওগাঁর নজিপুর, রাজশাহীর কাকনহাট ও আড়ানী, নাটোরের নলডাঙ্গা, সিরাজগঞ্জের কাজিপুর, পাবনার ফরিদপুর, মেহেরপুরের গাংনী, কুষ্টিয়ার কুমারখালী, ঝিনাইদহের শৈলকুপা, বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট, মাগুরার মাগুরা, পিরোজপুরের পিরোজপুর, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী, ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া, নেত্রকোনার কেন্দুয়া, কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর, ঢাকার সাভার, নরসিংদীর মনোহরদী, নারায়ণগঞ্জের তারাব, শরীয়তপুরের শরীয়তপুর, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর, কুমিল্লার চান্দিনা, ফেনীর দাগনভূঞা, নোয়াখালীর বসুরহাট, খাগড়াছড়ির খাগড়াছড়ি এবং গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভায়।

এছাড়া চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি, উল্লাপাড়া, সদর ও রায়গঞ্জ, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ, কুষ্টিয়ার সদর, ভেড়ামারা ও মিরপুর, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ও কমলগঞ্জ, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও সদর, দিনাজপুর সদর ও বিরামপুর, পাবনার ভাঙ্গুড়া, সাঁথিয়া ও ঈশ্বরদী, রাজশাহীর ভবানীগঞ্জ, সুনামগঞ্জের সদর ও ছাতক, হবিগঞ্জের মাধবপুর ও নবীগঞ্জ, ফরিদপুরের বোয়ালমারী, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা, নাটোরের গুরুদাসপুর ও গোপালপুর, বগুড়ার শেরপুর, বান্দরবান জেলার লামা এবং কিশোরগঞ্জ সদর পৌরসভায় ব্যালটের মাধ্যমে ভোট নেওয়া হচ্ছে।

নির্বাচনের জন্য এসব পৌরসভায় গতকাল ১৫ জানুয়ারি, শুক্রবার রাত ১২টা থেকে আজ রাত ১২টা পর্যন্ত লঞ্চ, ইঞ্জিনচালিত সব ধরনের নৌযান (ভোটারদের চলাচলের জন্য ছোট নৌযান চলতে পারবে) ও স্পিড বোট চলাচল বন্ধ থাকবে।

এদিকে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের জন্য পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে মোবাইল ফোর্স, স্ট্রাইকিং ফোর্স ও র‌্যাব মোতায়েন রয়েছে।

এদের পাশাপাশি রয়েছেন বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও আনসার সদস্য।

এছাড়া ভোটার সংখ্যা এক লাখের অধিক রয়েছে এমন পৌরসভায় চার প্লাটুন, ৫০ হাজারের অধিক তবে এক লাখের নিচে হলে তিন প্লাটুন, ১০ হাজারের অধিক তবে ৫০ হাজারের নিচে হলে দুই প্লাটুন এবং ভোটার সংখ্যা ১০ হাজারের নিচে হলে এক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

দেশের মোট ৩২৯টি পৌরসভা রয়েছে। এর মধ্যে গত ২৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে ২৪টি পৌরসভায় ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। দ্বিতীয় ধাপে আজ ভোট হচ্ছে ৬০টি পৌরসভায়।

৩০ জানুয়ারি তৃতীয় ধাপে ৬৪টি পৌরসভায় ও চতুর্থ ধাপে ১৪ ফেব্রুয়ারি ৫৬টি পৌরসভায় ভোট হবে।

-ডেআর

FacebookTwitter