দূর্যোগে সবারই এগিয়ে আসা উচিৎ

দূর্যোগে সবারই এগিয়ে আসা উচিৎ
দূর্যোগে সবারই এগিয়ে আসা উচিৎ

একটি দেশ কখনই কারো একার নয়। কোটি মানুষের দেশের মালিক জনগনই। তাই দেশের যে কোন দূর্যোগে দল, মত নির্বিশেষে সবারই একযোগে এগিয়ে আসা উচিৎ। যেটা আমাদের দেশে কখনই দেখা যায়নি।

প্রাকৃতিক দূর্যোগ, মহামারি সহ নানা মুসিবতে যদি দল, মত ভেদাভেদ না থাকে তখনই সে দেশ এগিয়ে যায়।

পৃথিবীতে বাংলাদেশের মত রাজনৈতিক সংস্কৃতি অন্য কোর রাষ্ট্রে আছে বলে শোনা যায়নি। যে দেশে রাষ্ট্রীয় কোন দুর্যোগ নিয়েও রাজনীতি হয়। যদিও দূর্যোগে ক্ষমতাসীনদের অনেক কিছু ভূল থাকতে পারে।

কনোরা ভাইরাস একটি আকস্মিক দূর্যোগ, যা সারাবিশ্বে মহামারিতে রুপ নিয়েছে। বাংলাদেশেও এর প্রবেশ লক্ষ করা যাচ্ছে। কিন্ত করোনা ভাইরাস নিয়ে সরকারের বিরোধীদের নিয়ে সম্মলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানানো উচিৎ। আবার বিরোধীদেরও এ বিষয়ে সরকারের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দূর্যোগ মোকাবেলায় অংশ নিয়ে জনগনের মন জয় করার চেষ্টা করা উচিৎ।

সরকারীভাবে করোনা মোকাবেলায় পাড়ায়, মহল্লায় সচেনতা যেমন চলছে তা আরও জোরদার করতে বিভিন্ন পয়েন্টে করোনা পয়েন্ট স্থাপন করে বিনা মূল্যে সন্দেহভাজনরে নিরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা উচিৎ। কারন জনগনের অনেকেই নিজেকে সুস্থ মনে করে চলাচল করছেন। ব্যবসার ক্ষতি হবে ভেবে নিজেকে নিজ কাজেই নিয়োজিত রেখেছেন।

এ ছাড়া বিনা মূল্যে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত মুখোশ বিতরণ, হাত ধৌতকরণ ওষুধ বিতরণ ও এর সহজলভ্যতা নিশ্চিৎ করা উচিৎ।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের ফলে দেশে এই কয়েকটি জিনিসের সহজলভ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। এবং মূল্যও নির্ধারিত নেই।

যেহেতু দেশে অন্য আক্রান্ত দেশেও তুলনায় রোগির সংখ্যা অনেক কম, তাই এখনই এর প্রতিরোধ করলে করোনা আর সংক্রমনের সুযোগ পাবে না।

ইতিমধ্যে করোনা ইস্যুতে নিত্য পন্যের মূল্যে ঝড় চলছে, যা পুরনো নয়। এ বিষয়ে সরকারি কঠোর পদক্ষেপ না নিলেই নয়।

শেয়ার করুন:

FacebookTwitter