দুই সন্তানের জননীকে অস্ত্র ঠেকিয়ে ধর্ষণ

সারাদেশঃ

চাঁদপুরে এক গৃহবধূর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের দুর্গম লক্ষ্মীরচরে এই ঘটনা ঘটেছে।

এই ঘটনার পর দুইদিন ধরে অবরুদ্ধ ছিলো ওই ভুক্তভোগী পরিবার। পরে ২২ জুন, সোমবার গ্রাম পুলিশের সাহায্যে ওই চর থেকে পালিয়ে জেলা শহরে আসেন তারা।

এর মধ্যেই ভুক্তভোগীর স্বামী ঘটনায় জড়িত চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও দুইজনসহ মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।

ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ দুই সন্তানের মা। তাকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ৭/৮ জনের একদল দুর্বৃত্ত তাদের ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং তার স্বামীকে গলায় ধারাল অস্ত্র ঠেকিয়ে পর্যায়ক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনা জানাজানি হলে তার গোটা পরিবারকে গুম করারও হুমকি দেয়া হয়। এছাড়া ওই গৃহবধূ যাতে চিকিৎসা না নিতে পারে সেজন্য ওই পরিবারের সবাইকে দুইদিন অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।

গ্রাম্য সালিশে ধর্ষকদের প্রকাশ্যে জুতা পেটা করা হলে দুর্বৃত্তরা আবারো ওই বাড়িতে হামলা চালায়। শেষ পর্যন্ত গ্রাম পুলিশের সহায়তায় সোমবার চাঁদপুর শহরে আশ্রয় নেয় পরিবারটি। পরে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিমুদ্দীনের সহযোগিতায় ওই গৃহবধূকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনাটি দু:খজনক। ’ তবে এ নিয়ে আর কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। এ ঘটনায় যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান। 

চাঁদপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহেদ পারভেজ চৌধুরী বলেন, মামলাটির তদন্ত এবং অভিযুক্ত আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) হারুনুর রশিদকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

ওসি (তদন্ত) হারুনুর রশিদ বলেন, ‘আমরা মঙ্গলবার বিকালে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তবে আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা সবাই পালিয়ে যায়। তাদের গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে।’ 

-ডিকে

FacebookTwitter