আন্তর্জাতিকঃ
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো দুই শতাধিক, এর মধ্যে অন্তত ৭০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে ৩৪ দিল্লি জিটিবি হাসপাতাল, তিনজন এলএনজিপি হাসপাতাল এবং একজন জাগ পারবেশ চান্দর হাসপাতালে জন মারা যান।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আম আদমি নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিহতের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আহতদের চিকিৎসা খরচও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বহন করা হবে বলেও তিনি জানান।
ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য কুইন্ট এমন খবর প্রকাশ করে।
এ দিকে ২৭ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার রাতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, পরিস্থিতি উন্নতির জন্য জারি করা ১৪৪ ধারা ১০ ঘণ্টার জন্য শিথিল করা হয়েছে। আক্রান্ত এলাকাগুলোতে গত ৩৬ ঘণ্টায় বড় কোনো ধরনের ঘটনা ঘটেনি।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এখন পর্যন্ত সংঘর্ষ, প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কিত ৪৮টি এফআইআর নিবন্ধিত হয়েছে এবং পরবর্তী আরো এফআইআর যথাযথভাবে নিবন্ধ করা হবে। এ পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫১৪ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তবে সহিংসতায় উসকানিদাতা বিজেপি নেতাদের বিষয়ে দিল্লি পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার মতো ‘সহায়ক পরিবেশ’এই মুহূর্তে নেই। ‘যথাযথ সময়ে’ এফআইআর দায়ের করা হবে।
এর আগে উসকানিমূলক বক্তব্যের জন্য অভিযুক্ত চার বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য দিল্লি পুলিশকে বুধবার ২৪ ঘণ্টা সময় দেয় দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরলীধর। এরপর গত বুধবার রাতেই তাকে পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্টে বদলির নির্দেশ জারি হয়।
দিল্লির এই সাম্প্রদায়িক হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
এ ঘটনায় পুলিশের বিতর্কিত ভূমিকার কথা উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দাঙ্গাকারীদের সঙ্গে পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে দেখা যায়। কোথাও আবার নিজ হাতে সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙেছে পুলিশ।
এদিকে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, হামলা সম্পর্কে গত রবিবার পরপর ছয়বার গোয়েন্দা সতর্ক করার পরও কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি দিল্লির পুলিশ।
-ডিকে