আর্ন্তজাতিকঃ
দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় পপ গান শোনার দায়ে সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জন উং।
একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন এ তথ্য জানিয়েছে। এ ছাড়া প্রাক্তন শাসক কিম জং ইল-এর দশম মৃত্যুবার্ষিকীর কারণে চলতি ডিসেম্বরের ১৭ থেকে পরবর্তী ১০ দিন পর্যন্ত দেশটিতে হাসাহাসি এবং মদ পানের উপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সূত্র : এএফপি।
বিভিন্ন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার শাসক দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় পপগান তার দেশে শোনাকে একেবারেই বরদাস্ত করছেন না। এরজন্য শাসক কিম জং উন অন্তত সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। এর মধ্যে ৬টি ঘটনা হয়েছে উত্তর কোরিয়ার হেসান প্রদেশে। এই তথ্য তুলে ধরেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন।
খবরে দাবি করা হয়, ২০১৫ সাল থেকে অন্তত ৬৮৩ জন উত্তর কোরিয়ার বাসিন্দার সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছে সংগঠনটি। যারা কিমবিরোধী, তাদের সঙ্গেই কথা বলা হয়েছে। সংগঠনটি জানিয়েছে, কিমের প্রথম পাঁচ বছরের শাসন কালে বিভিন্ন কারণে ৩৪০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এই তালিকায় আরও রয়েছেন কিমের কাকা জ্যাং সং থেক, দেশের তৎকালীন সেনাপ্রধান রি ইয়ং হো। খবরে আরও বলা হয়েছে, কিমের বাবা কিম জং ইলের মৃত্যুর দশম বছর এটি। এ নিয়েও কড়া নির্দেশিকা দিয়েছে কিম জং উন সরকার।
নিদের্শনা অনুযায়ী, দেশটিতে ১৭ ডিসেম্বর থেকে টানা ১০ দিন দেশে মদপান চলবে না, কেউ হাসাহাসি করতে পারবেন না, এমনকী খুশিরভাবও দেখানো যাবে না। এ বিষয়ে নিজের পরিচয় গোপন করে উত্তর কোরিয়ার সীমান্তবর্তী সিনজুইজু-এর এক বাসিন্দা রেডিও ফ্রি এশিয়াকে জানিয়েছেন, এর আগেও যখন জাতীয় শোক চলে, তখন মদ খেয়ে থাকার অভিযোগে অসংখ্য মানুষকে গ্রেফতার করেছে উত্তর কোরিয়ার প্রশাসন। এবার শুধু হাসি বা মদ পানের উপর নিষেধাজ্ঞাই নয় অবসর যাপন, উৎসবে মেতে ওঠাতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই নিয়ম লঙ্ঘন করলে নাগরিকদের পেতে হবে কঠিন শাস্তি।
-ডিকে