আইন আদালতঃ
লকডাউন শেষে ঢাকা ছাড়ছে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার ঈদে ঘরমুখো মানুষ। রবিবার সকাল থেকেই মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ বেড়েছে।
ফেরি ও লঞ্চে যাত্রীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ঘাট কর্তৃপক্ষকে। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে পার হচ্ছেন যাত্রীরা।
স্থানীয় প্রশাসন মাইকিং করাসহ বিভিন্নভাবে স্বাস্থ্যবিধি পালনের চেষ্টা করলেও যাত্রীদের মধ্যে মানার প্রবণতা দেখা যায়নি। এ নৌরুটে ৮৭টি লঞ্চের মধ্যে ৮৪টি লঞ্চ এবং ১৬টি ফেরি চলাচল করছে।
গাদাগাদি করে যাত্রীরা লঞ্চে ও ফেরিতে উঠছে। স্বাস্থ্যবিধি ছাড়াই ফেরি ও লঞ্চে যাত্রী পারাপার করার ফলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রচণ্ড স্রোতের কারণে এ নৌরুটে ফেরি ও লঞ্চ পারাপার হতে সময় প্রায় দ্বিগুণ লেগে যাচ্ছে। এতে দু’প্রান্তে যাত্রীদের ভিড় ও যানজট বৃদ্ধি পাচ্ছে।
লঞ্চে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচলের নির্দেশ মানা হচ্ছেনা, স্রোতের মধ্যে এ রুটে অতিরিক্ত যাত্রী ভর্তি ছোট ছোট লঞ্চগুলো ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। ফেরিতেও একই অবস্থা।
লঞ্চে স্থান না পেরে ফেরিতেও অনেক যাত্রী পদ্মা পার হচ্ছে। গরু ভর্তি ও পণ্যবাহী ট্রাকসহ ঢাকামুখী যাত্রীও রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম (মেরিন) আহম্মদ আলী গণমাধ্যমকে জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে সকাল থেকেই শিমুলিয়া ঘাট হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের দিকে যাত্রা করেন ২১ জেলার মানুষ।
শিমুলিয়া ঘাট পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে পণ্যবাহী যানবাহনসহ অর্ধ সহস্রাধিক যানবাহন। মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌরুটে ১৬টি ফেরি সচল রয়েছে।
-কেএম