অনলাইন ডেস্ক:
তাকে ভাবা হয় রক ‘এন’ রোলের পথিকৃৎ। দ্য বিটলস, এলভিস প্রিসলি, এলটন জনসহ বিখ্যাত অনেক সংগীতশিল্পীর মধ্যে রয়েছে তার প্রভাব। কিংবদন্তি সেই গায়ক লিটল রিচার্ড আর নেই। শনিবার (৯ মে) ৮৭ বছর বয়সে স্তব্ধ হলো তার কণ্ঠ। প্রয়াত শিল্পীর পরিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিনোদনমূলক ওয়েবসাইট টিএমজিকে লিটল রিচার্ডের বেজ গিটারিস্ট চার্লস গ্লেন জানান, দুই মাস ধরে গুণী এই শিল্পী অসুস্থ ছিলেন।
সাবেক মুখপাত্র ডিক অ্যালেন নিশ্চিত করেছেন, টেনেসি রাজ্যের ন্যাশভিলে নিজের বাড়িতে মারা গেছেন তিনি। তখন পাশে ছিলেন তার ভাই, বোন ও ছেলে ড্যানি পেনিম্যান। বাবার ক্যান্সার ছিল বলে জানিয়েছেন ড্যানি।
লিটল রিচার্ডের মৃত্যুতে বিশ্বসংগীতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। শিল্পীরা তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
বিটলস ব্যান্ডের ড্রামার স্যার রিঙ্গো স্টার বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তা লিটল রিচার্ডের মঙ্গল করুন। তিনি ছিলেন আমার অন্যতম সেরা মিউজিক্যাল হিরো।’
১৯৩৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া রাজ্যে জন্মের পর তার নাম রাখা হয় রিচার্ড ওয়েইন পেনিম্যান। ১২ ভাইবোনের মধ্যে নিজেকে আলাদা করতেই গান বেছে নেন তিনি।
প্রাণবন্ত ও উত্তেজনায় ভরপুর পরিবেশনা ও অতিরঞ্জিত পোশাক ছিল লিটল রিচার্ডের বৈশিষ্ট্য। পঞ্চাশের দশকে সোনালি সময় কাটিয়েছেন তিনি। তখন আমেরিকায় শ্বেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গ বিভাজন ছিল চরমে। তবুও তার গান সবশ্রেণির সব বর্ণের শ্রোতারা গ্রহণ করেছিলেন।
মিক জ্যাগার, ডেভিড বোওয়ি, রড স্টুয়ার্টের মধ্যেও রয়েছে লিটল রিচার্ডের প্রভাব। ষাটের দশকের মাঝামাঝি তার ব্যান্ডে গিটার বাজাতেন জিমি হেন্ড্রিক্স।
রিচার্ডের বিখ্যাত গানের তালিকায় অন্যতম ‘গুড গলি মিস মলি’। ১৯৫৮ সালে ইউকে চার্টে জায়গা করে নেয় এটি। অন্য জনপ্রিয় গানগুলো হলো ‘টুট্টি ফ্রুট্টি’, ‘লং টল স্যালি’ প্রভৃতি। বিশ্বব্যাপী তার গানের তিন কোটিরও বেশি কপি বিক্রি হয়েছে। ১৯৮৬ সালে রক অ্যান্ড রোল হল অব ফেমে স্থান পাওয়া বিখ্যাত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনি অন্যতম।
তথ্যসূত্র: বিবিসি, রয়টার্স
-এফকে