অর্থনীতিঃ
তৃতীয়বারের মত ‘এইচএসবিসি বিজ্নেস এক্সিলেন্স্ অ্যাওয়ার্ডস্’ আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে দি হংকং এন্ড সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন লিমিটেড বাংলাদেশ।

দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তাদের উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতি দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই উদ্যোগ।

এবছর অ্যাওয়ার্ডস্ আয়োজনের থীম হচ্ছে: বাংলাদেশ: প্রাউডলি রেজিলিয়েন্ট, গ্লোবালি এক্সিলেন্ট।

এইচএসবিসি বিজ্নেস এক্সিলেন্স্ এ্যাওয়ার্ডস এর নমিনেশন ফর্ম পূরণের মাধ্যমে আটটি ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহনের সুযোগ রয়েছে। ‘তৃতীয় এইচএসবিসি বিজ্নেস এক্সিলেন্স্ অ্যাওয়ার্ডস্’ -এর ক্যাটাগরিগুলো হলো:

১. রপ্তানিতে এক্সিলেন্স্ – তৈরি পোশাক শিল্প (আরএমজি)
বার্ষিক রপ্তানি আয় ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও তার বেশি

২. রপ্তানিতে এক্সিলেন্স্ – সাপ্লাই চেইন এবং ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ
বার্ষিক রপ্তানি আয় ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও তার বেশি

৩. রপ্তানিতে এক্সিলেন্স্ – অসনাতন ও উদীয়মান ক্ষেত্র
বার্ষিক রপ্তানি আয় ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও তার বেশি (তৈরি পোশাক শিল্প ও টেক্সটাইলস্ ব্যতিত)

৪. আমদানী-বিকল্প শিল্পে অসামান্য অবদান
আমদানী-বিকল্প পণ্যের পরিমান ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা তার বেশী

৫. আভ্যন্তরীন বিনিয়োগ ও অবকাঠামো উন্নয়নে অসামান্য অবদান বৈদেশিক বিনিয়োগ যা হতে পারে মূলধন, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সংক্রান্ত ইত্যাদি যা আভ্যন্তরীন বিনিয়োগে সহায়ক এবং/অথবা নির্দিষ্ট অবকাঠামো বা ইন্ফ্রাস্ট্রাক্চার উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে জীবনযাত্রার মান ও জিডিপি উন্নয়নে কার্যকর অবদান রেখেছে এমন প্রতিষ্ঠান

৬. সাসটেনাবিলিটিতে এক্সিলেন্স্
এমন প্রতিষ্ঠান যাঁরা সাসটেনাবিলিটি উদ্যোগ বা প্রজেক্টের মাধ্যমে সমাজে কার্যকরী ও যুগান্তকারী অবদান রেখেছে

৭. নতুন প্রযুক্তি প্রনয়নে শ্রেষ্ঠ
এমন প্রতিষ্ঠান যাঁরা উদ্ভাবনী প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে জনজীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে এবং পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতেও অবদান রাখছে

৮. স্পেশাল এচিভমেন্ট এ্যাওয়ার্ড
এমন ব্যাক্তি/ব্যাক্তিবর্গ এবং/অথবা প্রতিষ্ঠান যাঁরা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, ইনোভেশনে এনেছে এক্সিলেন্স্, এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে সামাজিক অবদান রেখেছে।

‘এইচএসবিসি বিজ্নেস এক্সিলেন্স্ অ্যাওয়ার্ডস্’ যাঁদের পৃষ্ঠপোষকতায় হচ্ছে, তাঁরা হলেন: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রনালয় ও বৃটিশ হাই কমিশন ঢাকা। বিচারকমন্ডলী বা জুরি প্যানেলে থাকবেন, এইচএসবিসি সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিম, বাণিজ্য মন্ত্রনালয় ও বৃটিশ হাই কমিশন ঢাকা-র নির্বাচিত সদস্যগণ।

বিজয়ীদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে দেশের রপ্তানি ও সামগ্রিক অর্থনীতিতে অবদান, ডাইভার্সিটি, সামাজিক দায়িত্ববোধ, টেশসই পরিচালন প্রক্রিয়া, রেগুলেটরী কমপ্লায়েন্স প্রভৃতিও বিচার করা হবে।

বাংলাদেশে কার্যরত সকল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তাগণ ‘এইচএসবিসি বিজ্নেস এক্সিলেন্স্ অ্যাওয়ার্ডস্’-এ অংশগ্রহণ করতে পারবেন; অংশগ্রহনকারীকে এইচএসবিসি-র গ্রাহক হওয়ারও প্রয়োজন নেই। অংশগ্রহনের জন্যে কোনো এন্ট্রি ফি বা আর্থিক স্বীকৃতি নেই।

বাংলাদেশের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তাগণদের প্রতি আন্তরিক সহযোগীতার কথা উল্লেখ করে এইচএসবিসি বাংলাদেশের সিইও মো: মাহবুব উর রহমান বলেন, “বিগত ২৭ বছর ধরে এইচএসবিসি বাংলাদেশের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তাদের অগ্রযাত্রায় সহযোগিতা প্রদান করে আসছে।

বাংলাদেশ যখন স্বল্পোন্নত দেশের মর্যদা থেকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে, তখন আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, আভ্যন্তরীন চাহিদা পূরন কিংবা অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পে অসাধারন অবদান রেখেছে এমন সব উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানসমূহকে স্বীকৃতি দিতে পেরে এইচএসবিসি গর্বিত।”

এইচএসবিসি বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড অফ হোলসেল ব্যাংকিং জেরার্ড হগি বলেন, “বিজ্নেস এক্সিলেন্স্ অ্যাওয়ার্ডস-এর মাধ্যমে আমরা আমাদের শ্রেষ্ঠ উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানসমূহের অর্জনকে তুলে ধরতে চাই যাঁদের কৃতিত্বেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে আলোকিত হচ্ছে।

আমাদের অর্থনীতিতে এই সকল প্রগতিশীল উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানসমূহ যাঁরা আমাদের অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী করছে, তাঁদের অবদানকে আমরা স্বীকৃতি দিতে পেরে গর্বিত।”

এইচএসবিসি বাংলাদেশর কান্ট্রিহেড অফ কমিউনিকেশনস্ – তালুকদার নোমান আনোয়ার তৃতীয় এইচএসবিসি বিজ্নেস এক্সিলেন্স্ এ্যাওয়ার্ডস-এ অংশগ্রহনের নিয়ম-নীতিগুলি বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেন।

নমিনেশন ফর্ম ও অন্যান্য বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে http://business.hsbc.com.bd/bea -এ। প্রতিষ্ঠানসমূহ অন্য প্রতিষ্ঠানকেও মনোনয়ন দিতে পারবেন।

নমিনেশন ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১ অক্টোবর ২০২৩।

-শিশির

FacebookTwitter