অনলাইনঃ
কিশোর-কিশোরী ও তরুণদের উন্নয়নের জন্য তরুণদেরকে পরিবার পরিকল্পনার দূত হওযার জন্য আহ্বান জানিযেছেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালত কাজী আ খ ম মহিউল ইসলাম।
রাজধানীর হোটেল লা ভিঞ্চিতে বুধবার সকালে আযোজত কিশোর-কিশোরী ও তরুণদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে মতবিনিময় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বর্তমান সময় যুবদের তাদের অধিকার নিয়ে সামনে এগোনোর সময়, তরুণ সমাজের স্বাস্থ্য অধিকার নিয়ে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর সর্বদা সচেষ্ট এবং কিশোর-কিশোরদের স্বাস্থ্যসেবাকে আরো উন্নত, সহজতর ও গঠনমূলক করতে আমরা সারাদেশে ছয় শতাধিক কিশোর-কিশোরী বান্ধব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক-সিসিএসডিপি ডঃ মোহাম্মাদ মইনুদ্দিন আহমেদ বলেন, কিশোর-কিশোরীদের বয়ঃসন্ধিকালে যে নানামুখী সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তা উপলব্ধি করেই যুব বান্ধব স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র গুলো প্রতিষ্ঠিত করা, তাই এই স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র গুলোকে যুবদের দোর গোরায় পৌঁছে দেয়া আমাদের কর্তব্য।
একই সঙ্গে সেবা প্রদানকারীদের দক্ষতা উন্নয়নে সকল সহযোগীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
সিরাক-বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এস এম সৈকত বলেন, যুব ও কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যসেবাকে প্রচলিত স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার বাইরে গিয়ে তাদের কাছে পৌছে দেওয়ার উদ্ভাবনী চিন্তার সময় এসেছে।
সমসাময়িক সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করার জন্য তরুণদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ এফপি২০২০ সিএসও ফোকাল পয়েন্ট ডাঃ আবু জামিল ফয়সাল বলেন, ২০২০ সালের পর বৈশি^ক পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের যুবদের মাঝে প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের এমসিএইচ সার্ভিস বিভাগের সহকারী পরিচালক ডাঃ মোহাম্মাদ মঞ্জুর হুসাইন, অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডঃ নুরুন নাহার বেগম, জ্যপাইগো বাংলাদেশের সিনিয়র টেকনিক্যাল উপদেষ্টা ডাঃ জেবুন্নেসা রহমান, মেরি স্টোপস বাংলাদেশের এডভোকেসি অফিসার তনুশ্রী মানজি, রাইট হেয়ার রাইট নাও বাংলাদশের ন্যাশনাল কো-অরডিনেটর সারাবান তহুরা জামান, সিরাক বাংলাদেশের প্রোগ্রাম অফিসার তাসনিয়া আহমেদ, রোকনুল রাব্বি, সহযোগী প্রোগ্রাম অফিসার নুসরাত শারমিন রেশমা, নাহিদুর রহমান প্রমুখ।
-শিশির