স্বাস্থ্যঃ
করোনাভাইরাসের টিকা নেয়ার পর যদি কারো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তাহলে সরকার সেটারও চিকিৎসা দেবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সেই সাথে তিনি জানান, রাজধানীর তিন শতাধিক কেন্দ্র থেকে দেয়া হবে করোনার টিকা।
আজ ১৮ জানুয়ারি, সোমবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির উদ্যোগে আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
সেখানে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি আগামী ২৫-২৬ জানুয়ারির মধ্যে ভ্যাকসিনের প্রথম লট চলে আসবে। ভারত সরকার আমাদেরকে কিছু ভ্যাকসিন উপহারসরূপ দেবেন। সেটাও আমরা আশা করছি যেকোনো সময় চলে আসবে।’
এর পাশাপাশি অন্যান্য যারা টিকা তৈরি করছে যেমন রাশিয়া, সানোফি, মর্ডানা, ফাইজারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান জাহিদ মালেক।
তিনি আরো বলেন, ‘ভারত কী পরিমাণ ভ্যাকসিন দিচ্ছে সেটার সংখ্যা এখনই বলতে পারবো না। তবে সেটা বেশ ভালো পরিমাণ। অল্প সময়ের মধ্যে চলে আসবে।’
প্রথম লট পাওয়ার আগেও উপহারের ভ্যাকসিন চলে আসতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘যারা টিকা নিয়ে কাজ করছে, সবার সঙ্গে কথা বলে এটা নিয়ে আসা হচ্ছে। আশা করি সবাইকে আমরা টিকা দিতে পারবো।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আশা করি দেশের প্রত্যেক সাংবাদিক করোনার টিকা পাবেন। যারা ঢাকায় কর্মরত তারা প্রথম ধাপেই টিকা পাবেন বলে আশা করছি।’
এদিকে জানা গেছে, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অ্যাস্ট্রেজেনকা-অক্সফোর্ডের করোনার টিকার ৫০ লাখ ডোজ প্রথম প্রথম ধাপে আসবে। তবে প্রথম ধাপে ২৫ লাখ নয়, ৫০ লাখ ডোজই প্রয়োগ করা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে। যদিও আগের সিদ্ধান্ত ছিল, ৫০ লাখের ২৫ লাখ দেয়া হবে। কিন্তু নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৫০ লাখই প্রয়োগ করা হবে।
এছাড়া ৬৪ জেলার মধ্য ২৮টি জেলায় টিকার সংরক্ষণাগার তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সাড়ে ৭ হাজার কেন্দ্র থেকে দেয়া হবে এই টিকা।
-কেএম