নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ঢাকা শহরের রুটগুলোতে ঘন পরিবহনের চলাচল নেই বললেই চলে। আজ শুক্রবার সকালে এ চিত্র দেখা গেছে। সড়কে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস চলাচল করছে তবুও সংখ্যায় অনেক কম।
ছুটির দিনে সাধারণত সড়কে বাসের সংখ্যা কমই থাকে। কিন্তু আজ আক্ষরিক অর্থে দু-একটি বাস ছাড়া গণপরিবহন দেখা যায়নি। পুলিশবাহী কিছু যানবাহন দেখা গেছে। আর সরকারী মালিকানাধীন বিআরটিসির কিছু দোতলা বাস। এ ছাড়া মোটরবাইক চলছে নিজস্ব পরিবহন হিসেবে।
গণ পরিবহনের এ শূণ্যতায় এ্যাপস ভিত্তিক রাইড উবার, পাঠাও বা ওভাইদের ব্যবসা ভাল চলার কথা থাকলেও রাস্তায় রাস্তায় কাগজ চেকিং এর বিরক্তিকর কারনে এবং অনেক চালকের বৈধ কাগজও অনেক চালকের নেই। বললেন পাঠাও চালক মোশারফ হোসেন। এর ফলে বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। শত শত মানুষকে রাস্তায় হাঁটতে দেখা গেছে।
রোকেয়া সরণি, মিরপুর রোড, সাতমসজিদ রোড, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, প্রগতি সরণি, এলিফ্যান্ট রোড ঘুরে কোনো গণপরিবহন দেখা যায়নি।
মূলত আন্দোলনরত ছাত্রদের হাত থেকে বাঁচতেই গণপরিবহনের শূণ্যতা। এর কারণ হিসেবে আরও একটি বিষয় হল অনেক পরিবহনেই নেই বৈধ কাজগপত্র। জানালেন সাধারণ শ্রমিক নূর মোহাম্মদ।
গত ২৯ জুলাই রাজধানীর কুর্মিটোলার বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়। এ ছাড়া আহত হয় বেশ কয়েকজন। নিহত শিক্ষার্থীরা হলো শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে এরই মধ্যে ২০ লাখ টাকার অনুদান দিয়েছেন।
এ আন্দোলন শিক্ষার্থীরা নয়টি দাবি করেছে। তাদের সব দাবি মেনে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল গণমাধ্যমে বলেছেন, শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। এখন তাদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার উচিত বলে জানান তিনি।
গতকাল তাদের ডাকে সারা দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় সরকারি সিদ্ধান্তে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকে।
-আরবি