ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে ইভিএম এ ভোটগ্রহণ চলছে

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (ইভিএম) মেশিনে ভোটগ্রহণ শুরু
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (ইভিএম) মেশিনে ভোটগ্রহণ শুরু

অনলাইনঃ
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেক্ট্রোনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) মেশিনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

দুই সিটিতে নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে রয়েছে ২ হাজার ৪৬৮টি এবং ভোটার রয়েছেন ৫৪ লাখ ৬৩ হাজার ৪৬৭ জন। এর মধ্যে ঢাকা উত্তরে ভোটার ৩০ লাখ ১০ হাজার ২৭৩। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬৭ এবং নারী ভোটার ১৪ লাখ ৬০ হাজার ৭০৬ জন। আর ঢাকা দক্ষিণে ভোটার ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১২ লাখ ৯৩ হাজার ৪৪১ এবং নারী ১১ লাখ ৫৯ হাজার ৭৫৩ জন।

দলীয় প্রতীকে হওয়া এই নির্বাচনে ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে ছয়জন, ৫৪ টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৫১ জন এবং ১৮টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৭ জন প্রার্থী লড়ছেন। আর ঢাকা দক্ষিণে লড়ছেন মেয়র পদে সাতজন, ৭৫ টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩২৬ জন এবং ২৫টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৮২ জন প্রার্থী। তবে এরইমধ্যে এই সিটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দুইজন সাধারণ কাউন্সিলর এবং দুইজন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।

এই নির্বাচনে দুই সিটিতে মেয়র পদে লড়ছেন মোট ১৩ প্রার্থী। ঢাকা দক্ষিণে ৭ জন আর উত্তরে ৬ জন। দক্ষিণের ৭ মেয়র প্রার্থীরা হলেন: আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস, বিএনপির ইশরাক হোসেন, জাতীয় পার্টির হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আব্দুর রহমান, এনপিপির বাহারানে সুলতান বাহার, গণফ্রন্টের আব্দুস সামাদ সুজন ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের আকতারুজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লাহ।

আর উত্তরের ৬ মেয়র প্রার্থীরা হলেন: আওয়ামী লীগের আতিকুল ইসলাম, বিএনপির তাবিথ আউয়াল, সিপিবির সাজেদুল হক, পিডিপির শাহীন খান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ফজলে বারী মাসউদ এবং এনপিপির আনিসুর রহমান দেওয়ান।

এদিকে এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অর্ধ লক্ষ সদস্য আজ মাঠে রয়েছে। নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, এপিবিএন সদস্যদের মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স নির্বাচনী এলাকায় টহল দিচ্ছে। এছাড়া ভোট কেন্দ্রে ইভিএম-এর ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন সশস্ত্র বাহিনীর ৫ হাজারের বেসি সদস্য। আর দুই সিটির এই ভোট পর্যবেক্ষণ করছেন প্রায় দেড় হাজার স্থানীয় পর্যবেক্ষক।

অন্যদিকে এই নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে একজন প্রিজাইডিং অফিসার, প্রতি ভোটকক্ষে একজন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও দুইজন পোলিং অফিসার দায়িত্বে আছেন। আর দুই সিটিতে দুইজন রিটার্নিং অফিসারের সাথে ৪৩ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসারসহ ৪৯ জন সহায়ক অফিসার নির্বাচন পরিচালনায় যুক্ত রয়েছেন। বিকালে ভোট গ্রহণ শেষ হলে কেন্দ্রভিত্তিক ভোট গণনা ও কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করবেন প্রিজাইডিং অফিসার। এরপর রিটার্নিং অফিসার একীভূত তথ্য নিয়ে বেসরকারিভাবে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করবেন।

-কেএম

FacebookTwitter