ব্যবসা-বাণিজ্যঃ
অপ্রত্যাশিত অভিজ্ঞতা আবিষ্কারে অতিথিদের সাহায্য করার জন্য সুপরিচিত আন্তর্জাতিক লাইফস্টাইল হোটেল ব্র্যান্ড, রেনেসাঁ হোটেল আজ ঢাকার গুলশানে উদ্বোধন হল।
এই উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশে পা রাখল রেনেসাঁ হোটেলস, যেটি দেশে চারটি আন্তর্জাতিক হোটেল ব্র্যান্ড হিসেবে ম্যারিয়ট ইন্টারন্যাশনাল পোর্টফোলিওকে আরও বর্ধিত করল।
প্রিমিয়ার হোটেল ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড প্রিমিয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ডঃ এইচ. বি. এম. ইকবাল এই মনোমুগ্ধকর নতুন হোটেলের সূচনা লগ্নে গর্বিত হয়ে বলেন, “ঢাকায় ম্যারিয়ট ইন্টারন্যাশনালের এই নবতম সংযোজন আনতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত, আমি বিশ্বাস করি সর্বোচ্চ পর্যায়ের সেবা প্রদানের মাধ্যমে এই শহরে আগত সকল পর্যটকদের জন্যে এটি তীর্থস্থান হতে যাচ্ছে।“
এই আনন্দঘন পরিবেশে প্রিমিয়ার হোটেল ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড প্রিমিয়ার গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মইন ইকবাল বলেন, “রেনেসাঁ ঢাকা গুলশান সম্পূর্ণ নিজের মতো করে একটি প্রশান্তিমূলক এবং আরামদায়ক পরিবেশ প্রদানে প্রস্তুত। ম্যারিয়ট ইন্টারন্যাশনালের প্রশিক্ষিত এবং চমৎকার আতিথেয়তায় সাদরে অভ্যর্থনা জানিয়ে গুলশানে আমাদের অতিথিদের জীবনের ভারসাম্যতা উপলব্ধিতে দারুণ সুযোগ প্রদানে আমরা বদ্ধপরিকর।“
ম্যারিয়ট ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়ার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নীরজ গোভিল বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ায় ম্যারিয়ট ইন্টারন্যাশনালের পোর্টফোলিওতে নবতম সংযোজন, রেনেসাঁ ঢাকা গুলশানে ব্যবসার কাজে এবং অবসর সময় কাটাতে আসা উভয় ধরণের আগতদের স্বাগত জানাতে আমরা অপেক্ষা করছি।
তিনি আরও বলেন, যারা সর্বদা নতুন কিছু আবিষ্কারের জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকেন, প্রত্যেকবার তারা যখন শহরে আসবেন, তখন তাদের অনুপ্রেরণা জোগাতে রেনেসাঁ গুলশান হোটেলটির বদ্ধপরিকর।
বাংলাদেশে দ্রুত উদীয়মান সাংস্কৃতিক অথবা ব্যবসার কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত লাভ করা ঢাকায় এই নয়া উদবোধনের মাধ্যমে স্থানীয় বা স্বদেশী দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে প্রাণচঞ্চলশহর এবং এটির প্রকৃত স্বাদ অনুভব করতে অতিথিদের দারুণ সুযোগ প্রদান করা হচ্ছে”।
ব্র্যান্ডের সুপরিচিত জাঁকজমকপূর্ণ ডিজাইন রণকৌশলের সাহায্যে, ২১১টি রুম বিশিষ্ট রেনেসাঁ ঢাকা গুলশানের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের সংস্কৃতি নতুনরূপে তুলে ধরা হয়েছে, যেটি সমসাময়িক স্টাইল এবং স্থানীয় সংস্কৃতির সংমিশ্রণে তৈরি করা হয়েছে।
অপূর্ব সুন্দর শাপলা আকার ফুটিয়ে তোলা কার্পেট এবং স্থানীয় হস্তশিল্পের মাধ্যমে প্রস্তুত করাবুননচিত্র রুমগুলিকে বাড়তি আকর্ষণ প্রদান করে। সুতো এবং গোল্ড থ্রেডের মিশ্রণ ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন প্যাটার্নে নিখুঁতভাবেবোনা জামদানির কাজ দিয়ে সাজানো প্রতিটি রুমের জন্য হেড বোর্ড হোটেলের রং এবং রূপকে আরও আকর্ষণীয় এবং সমৃদ্ধতর করে তুলেছে। দৃষ্টিনন্দন লবি, রেস্তোরাঁ এবং স্থানগুলির ডিজাইন এই হোটেলের স্থানীয় সংযোগকে আরও জোরালো করেছে।
অসীম দিগন্তের রূপ, অন্যান্য নৈশভোজের বিপুল সম্ভার প্রদানকারী পাঁচটি রেস্তোরাঁ অতিথিদের অভিজ্ঞতাকে স্মরণীয় করে রাখবে। বাহার, সারাদিন ধরে উপলব্ধ রেস্তোরাঁ রয়েছে লাইভ কুকিং স্টেশন, যেখানে বুফে নৈশভোজের অভিজ্ঞতা অথবা আপনার পছন্দের বিপুল খাবার চেখে দেখতে পারেন। স্থানীয় থেকে আন্তর্জাতিক, সমস্ত রকম খাবার এখানে পাওয়া যাবে। সুপরিচিত রেস্তোরাঁ সিয়ারে পাবেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক খাবারের সংমিশ্রণের অভিজ্ঞতা। সিয়ার বার হল শহরের প্রথম জ্যাজ বার এবং স্থানীয় স্বাদের ককটেল ও মকটেল সহ লাইভ মিউজিক উপভোগ করার একমাত্র
১৯ তলে অবস্থিত সুপরিচিত আর বার হল নতুনভাবে সাজানো পুলসাইড রেস্টুরেন্ট যেখানে শহরের অসাধারণ রূপ প্রত্যক্ষ করার পাশাপাশি পাবেন অভিনবটাটকা জুস, চা এবং বিয়ার। দ্য গুলশান বেকিং কোম্পানি হল একটি ফরাসী স্টাইলের বিপণী যেখানে পাবেন কফি, বিভিন্ন রকমের চা এবং স্যালাড। এর সঙ্গে পাওয়া যাবে স্থানীয় উপাদান থেকে প্রস্তুত করা জিলাটোর বিপুল সম্ভার।
৬,৫০০ বর্গফুটেরও বেশি এলাকাজুড়ে অবস্থিত বৈঠক এবং আহারের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা, সঙ্গে যথাযোগ্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে নির্মিত পরিকাঠামোএই হোটেলকেঘনিষ্ঠ, ব্যক্তিগত এবং সামাজিক অনুষ্ঠান সহযোগে বড় মাপের বৈঠক, সম্মেলন এবং বিয়ের আয়োজনের জন্য উপযুক্ত করে তুলেছে।
অবসর যাপনের অতিরিক্ত সুবিধা হিসেবে এখানে রয়েছে একটি সম্পূর্ণ ফিটনেস সেন্টার, একটি বড় পুল এবং বিলাসবহুল স্পা।
দ্য রেনেসাঁ হোটেল তাদের সুপরিচিত নেভিগেটর কেয়ারটেকার প্রোগ্রামও চালু করবে, যেখানে অতিথিদের সঙ্গে পরিচয় হবে স্থানীয় বাছাই করা রত্নদের।
এছাড়া, এই ব্র্যান্ডের পরিচিত ইভনিং অ্যাট রেনেসাঁ সেরা সঙ্গীত, শিল্প, খাবার এবং হোটেলে আরওনানা অভিজ্ঞতা প্রদান করবে। স্থানীয়দের সঙ্গে পরিচিত হতেও অতিথিদের উৎসাহ প্রদান করা হবে।
দ্যা রেনেসাঁ ঢাকা গুলশানের জেনারেল ম্যানেজার জেরোমি লিয়েনার্ট বলেন, “ঢাকায় আতিথেয়তার ক্ষেত্রে একটি আধুনিক এবং নতুন মু খ হয়ে উঠতে চলেছে রেনেসাঁ ঢাকা গুলশান। এটি শহরে একটি নতুন নজির সৃষ্টি করবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের আকর্ষণীয়, নতুন নৈশভোজের সুবিধা, অবসর সময় কাটানোর নানা সুবিধা এবং অনসাইট নেভিগেটর শহরে অতিথিদের নতুন অভিজ্ঞতা প্রদান করবে। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে এই হোটেল পর্যটক এবং স্থানীয় বাসিন্দা, উভয়ের কাছেই আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে”’।
ছবির মতো সুন্দর নদী, বাঘ এবং চা সহ পর্যটকদের একাধিক আকর্ষণীয় স্থানের সৌজন্য দক্ষিণ এশিয়ায় রত্ন ভান্ডারে সবুজ হিসেবে বাংলাদেশ পরিচিত। মেট্রোপলিটন সিটিতে বুড়িগঙ্গা নদীর অপূর্ব রূপ দর্শন অথবা লালবাগ ফোর্ট এবং আহসান মনজিলে দেশের সমৃদ্ধশালী ইতিহাসের একঝলক পর্যটকরা ঢাকায় উপভোগ করতে পারেন।
-শিশির