শিশির মোজাম্মেলঃ
উদ্ভাবনী, সৃজনশীল, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, মানবিক গুণাবলী এবং দেশপ্রেমে উজ্জীবিত ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশে প্রথমবারের মতো ‘স্মার্ট চিলড্রেন কার্নিভাল’ শীর্ষক চার দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক মানের শিশু উৎসব আগামীকাল শুরু হবে।

রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন সকাল ১১টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথি হিসেবে কার্নিভালের উদ্বোধন করবেন।

আজ দুপুরে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা ভবনের সেমিনার কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক একথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইসিটি বিভাগ সারাদেশের শিশুদের জন্য গেম, কুইজ প্রতিযোগিতা ও দলগতভাবে গল্প বলার এবং অন্যান্য রাইড উপভোগ করার সুযোগ তৈরি করছে, যা তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে সহায়তা করবে। পলক বলেন, কার্নিভাল গ্রাউন্ডকে বিভিন্ন জোনে ভাগ করা হবে, যার মধ্যে রয়েছে-ূ ইমারসিভ এক্সপেরিয়েন্স, ইন্টার‌্যাক্টিভ গেম, কুইজ প্রতিযোগিতা, ডিজিটাল রিডিং ল্যাব, ফেস পেইন্টিং, ম্যাজিক শো, ইন্টার‌্যাক্টিভ স্টোরি, স্টোরিটেলিং সেশন, ক্রাফট ওয়ার্কশপ, কালারিং স্টেশন, পাজেল গেম এবং কিডস রাইডিং জোন। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সব বয়সের শিশুরা বিনামূল্যে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করতে পারবে।

উৎসব চলাকালে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনুষ্ঠানে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতেও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন কার্নিভাল মাঠে পথশিশুদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উদযাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। শনিবার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে ‘স্মার্ট চিলড্রেন কার্নিভাল’ আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, পর্যায়ক্রমে উৎসবটি হবে মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে।
তিনি বলেন, শিশুরা যাতে গেম খেলে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, নৈতিকতা ও সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন বিষয় শিখতে পারে, সে জন্য আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে http://www.sheikhhasina.gov.bd তৈরি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, “আজকে আমরা যে ভাবে আমাদের সন্তানদের সাজাবো, সেভাবই আগামীকালের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে উঠবে। আমরা শিশু-কিশোরদের মধ্যে নৈতিক শিক্ষা, মূল্যবোধ এবং দেশপ্রেম জাগ্রত করতে চাই এবং তাদের উদ্ভাবনী নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, যাতে তারা পরিবেশ নিয়ে চিন্তা করতে পারে এবং সমস্যা সমাধান করতে পারে।” আশাবাদী হতে এবং বিশ্ব মানবতাকে জাগ্রত করতে যে শিশু এবং তরুণরা এতে যোগ দেবে, ইভেন্টটির উদ্দেশ্যই হচ্ছে- তাদেরকে সহায়তা করা।

পলক বলেন, ‘বাস্তবে শিশুরা আমাদের ভবিষ্যত। তাদের সম্ভাবনাকে লালন করা এবং তাদের প্রতিভাকে সঠিকভাবে বিকশিত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের সচিব মোঃ শামসুল আরেফিন ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার।

-শিশির

FacebookTwitter