অনলাইনঃ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনও পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি।
তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনো কারণ বা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ ও জনসচেতনতা দুই বিষয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে ডেঙ্গু কিংবা চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।’
সাঈদ খোকন আজ রোববার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেন ও খালগুলো নিয়মিত পরিষ্কারকরণ এবং মশক নিধনে কার্যকর পদেক্ষেপ গ্রহণ বিষয়ক এক সভায় এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ মন্ত্রণালয় ও দুই সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় তাজুল ইসলাম বলেন, বর্ষা আসার আগেই ড্রেন পরিষ্কার করা হয়েছে। এর উপকারও আমরা পাচ্ছি। নাগরিক জীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে দুই সিটি কাজ করছে। আমরা স্বাচ্ছন্দ্যময় সিটি গড়তে চাই।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন উত্তরাধিকার সূত্রে রাস্তাগুলো পেয়েছে। তবে যে ইউনিয়নগুলো নতুন করে ঢাকা সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, সেগুলোকে আধুনিকভাবে সাজানো হচ্ছে।
সাঈদ খোকন বলেন, জেঙ্গুর প্রস্তুতি হিসাবে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে চার ভাগে ভাগ করে সাতজন করে মোট ২৮ জন কমিউনিটি অ্যাম্বাসেডর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
কোন কোন এলাকায় মশার উপদ্রব বাড়ছে, কোথায় ওষুধ ছিঁটানো প্রয়োজন তারা তা চিহ্নিত করবে। পরবর্তিতে সিটি করপোরেশন থেকে সেসব এলাকায় মশকনিধনকর্মী পাঠানো হবে।
ডেঙ্গুর খবর পেতে হটলাইন চালু করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে ১৫০টি মেডিক্যাল টিমও গঠন করা হয়েছে। ১৫ জুলাই থেকে তারা কাজ শুরু করবে। তারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর বাড়িতে-বাড়িতে যাবে এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা দেবে। প্রয়োজনে রোগীকে হাসপাতালে পাঠাবে। হাসপাতালের সব ব্যয় সিটি করেপারেশন বহন করবে।
ঢাকা উত্তর সিটিকরপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধ চ্যালেঞ্জ। জনগণকে সম্পৃক্ত করে মশা নিধন করবো। প্রতি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে, মহল্লায় মহল্লায় মশক নিধনকর্মীর মোবাইল নম্বরসহ চটি বই বিতরণ করবো। ওয়েবসাইটেও মশক নিধনকর্মীদের তথ্য দেওয়া থাকবে।
-বাসস