অনলাইনঃ
বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রোধে নয়, বরং সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রনয়ণ করেছে বলে জানালেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি অ্যামন গিলমোর এর সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন।
“আমরা সার্বিক রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলাপ করেছি। আমরা আরও কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলেছি।
তিনি (ইইউ প্রতিনিধি) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে কথা বলেছেন…আমি তাকে পরিষ্কারভাবে বলেছি যে আইনটি করা হয়েছে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সাইবার অপরাধ রোধ করার জন্য, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বা বাকস্বাধীনতা বন্ধ করার জন্য নয়”, তিনি বলেন।
আজ (১০ জুন) রাজধানীর গুলশানে নিজের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে অ্যামন গিলমোরের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন।
আনিসুল হক জানান, তারা বিএনপি চেয়ারপারসনের কারাবন্দীর বিষয়টি নিয়েও কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, “আমি তাকে বলেছি যে বাংলাদেশের আদালত আইন অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়েছে এবং পরে হাইকোর্ট সেই সাজা বাড়িয়েছে। তিনি আদালতে সাজা পেয়ে কারাগারে আছেন এবং এতে সরকারের কিছু করার নেই।”
খালেদা জিয়া এতিমের অর্থ আত্মসাতের জন্য অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে কারাগারে রাখা বা ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে সরকারের কোনো ভূমিকা নেই বলে মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী।
অ্যামন গিলমোরের মিয়ানমার সফরের সময় তিনি যাতে দেশটির কর্তৃপক্ষকে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলেন সে জন্য তাকে আহ্বান করেছেন বলে জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী জানান যে, তারা নুসরাত হত্যা মামলার দ্রুত বিচার নিয়েও আলাপ করেছেন। তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত এ মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে আমি তাকে জানিয়েছি। আমি তাকে আরও বলেছি যে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মামলাটি যত দ্রুত সম্ভব নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া চলছে।”
সাক্ষাতে অ্যামন গিলমোর বলেন, “বাংলাদেশ তাদের এলাকায় বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা মানুষকে গ্রহণ ও আশ্রয় দিয়ে বিশাল উদারতা দেখিয়েছে।”
ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধির মঙ্গলবার কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনের কথা রয়েছে।
-্আরবি