ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কার্যকর

অনলাইন ডেস্কঃ

জাতীয় সংসদে সদ্য পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সই করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এর ফলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি কার্যকর হলো।

সোমবার রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন এ তথ্য জানান।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর দশম জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনে বিভিন্ন মহলের আপত্তির মধ্যে পাস হয় বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল। এটি সহ ওই অধিবেশনে ১৮টি বিল পাস হয়। আইনটি পাস হওয়ার প্রতিবাদে সম্পাদকরা মানববন্ধন করার ঘোষণা দেন। এর পর তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন আইন, তথ্য এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী।

সেখানে গণমাধ্যমের আপত্তিতে থাকা ধারাগুলো আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস দেয়া হয়। ৩ অক্টোবর গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অপরাধী মন না হলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বলা হয়েছে, আইনটি কার্যকর হলে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বাতিল হবে। তবে এ আইনটিতেই বিতর্কিত ৫৭ ধারার বিষয়গুলো চারটি ধারায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা হয়েছে।

এ আইনে পুলিশকে পরোয়ানা ও কারও অনুমোদন ছাড়াই তল্লাশি এবং গ্রেফতারের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এই আইনে ঢোকানো হয়েছে ঔপনিবেশিক আমলের সমালোচিত আইন ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট।

আইনের ১৪টি ধারার অপরাধ হবে অজামিনযোগ্য। বিশ্বের যে কোনো জায়গায় বসে বাংলাদেশের কোনো নাগরিক এ আইন লঙ্ঘন হয়- এমন অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে বিচার করা যাবে।

এ আইনের অধীনে সংগঠিত অপরাধ বিচার হবে ট্রাইব্যুনালে। অভিযোগ গঠনের ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে। এ সময়ে সম্ভব না হলে সর্বোচ্চ ৯০ কার্যদিবস সময় বাড়ানো যাবে।

-আরবি

FacebookTwitter