স্বাস্থ্যঃ
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ৪৭ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী ডা. তানিয়া সুলতানা আর নেই। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে তিনি ইন্তেকাল করেছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেলের আইসিউতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ডা. তানিয়ার সহপাঠী ও গোপালগঞ্জের মুকসেদপুর উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. নাজিরুম মুবিন।
তিনি জানান, ডা. তানিয়া সুলতানা শিশুরোগ বিষয়ে এফসিপিএস পার্ট-১ পাস করেছিলেন। তিন বছরের এক শিশু সন্তানের জননী ডা. তানিয়া সর্বশেষ ঢাকা মেডিকেল কলেজে ট্রেনিং করছিলেন।
তাঁর মৃত্যুতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ চিকিৎসক সমাজে এখন বইছে শোকের ছায়া।
বিএসএমএমইউর সাবেক ভাসকুলার সার্জন ডা. সাকলায়েন রাসেল একটি ছবি শেয়ার করেছেন। সেখানে তার (ডা. তানিয়ার) তিন বছরের শিশু সন্তান ও ডা. তানিয়ার স্বামী আমিনুল বাহার হিমন রয়েছে। ফেসবুক স্ট্যাটাসে ডা. সাকলায়েন রাসেল বলেন, ‘শিশুটির দিকে তাকাতে পারছি না…
ডা. তানিয়া ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমে উইথ মাল্টি অর্গান ফেইল্যরে আক্তান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন। আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করুন। আমিন।’
এমন আকস্মিক মৃত্যু মেনে নেওয়া খুব কষ্টের। ছোট্ট একটা মশার সামান্য একটা কামড়ের কাছে আমরা খুব অসহায়।
ডা. নাজিরুম মুবিন তার ব্যাচের আরও দুইজন চিকিৎসকের অকাল মৃত্যুর স্মৃতিচারণ করে বলেন, ২০০৯ সালে আমরা ১৮০জন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে এমবিবিএসে ভর্তি হয়েছিলাম। ২০০৯-এ শিবলি চলে গেলো, হার্ট অ্যাটাকে। ২০১২ সালে মঈন চলে গেলো রোড অ্যাকসিডেন্টে। ওইদিন দুপুরেও মঈনের সাথে দেখা হয়েছিল, কথা হয়েছিল। আর আজ (২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে) তানিয়া সুলতানা চলে গেলো ডেঙ্গুতে।
আরও পড়ুনঃ
অবস্থা বেগতিক দেখে প্রধানমন্ত্রী নিজেই বাজেট পড়েন
উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজে ও হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সাঈদ হাসান তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, চার দিনের জ্বর নিয়ে অবশেষে আইসিইউতে যুদ্ধ শেষে তিন বছরের ছোট্ট বাচ্চাকে রেখে চলে গেলেন ডা. তানিয়া সুলতানা। এত অসহায় আমরা বোধহয় আগে কখনো হইনি। ২০১৯ বাংলাদেশের জন্য একটি অভিশপ্ত বছর।
সূত্রঃ মেডিভয়েস