আন্তর্জাতিকঃ
এ মাসেই উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে পারমাণবিক ইস্যুতে দ্বিতীয় সামিটে বসার ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন।

এ সময় তিনি আরো একবার সীমান্তে দেয়ার নির্মাণের প্রত্যয় ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার রাতে ৮২ মিনিটের বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, আগামী ২৭-২৮ ফেব্রুয়ারি তিনি ভিয়েতনামে বৈঠকে বসবেন কিম জং উনের সঙ্গে। এ সময় তিনি কিম জং উনের সঙ্গে নিজের সম্পর্ককে চমৎকার বলে উল্লেখ করেন। বলেন, এখনও অনেক কাজ বাকি আছে।

গত বছর প্রথমবারের মধ্যে দুই দেশের ক্ষমতায় থাকা এই দুই নেতা সিঙ্গাপুরে প্রথম বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকে উত্তর কোরিয়া তার পারমাণবিক কর্মসূচি স্থগিত রাখতে সম্মত হয়েছিল।

তবে এরপর বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর প্রকাশ হতে থাকে যে, উত্তর কোরিয়া তার পারমাণবিক কর্মসূচি অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করা হয়।

স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণে ট্রাম্প রাজনৈতিক ঐক্যের আহ্বান জানান। একই সঙ্গে বলেন, হাস্যকর পক্ষপাতিত্বমূলক তদন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সমৃদ্ধিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। তার বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন ডেমোক্রেটরা। ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যবোধকে ত্যাগ করছেন বলে তাদের অভিযোগ। যুক্তরাষ্ট্রে ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী শাটডাউন বা অচলাবস্থার একপক্ষকালের কিছু কম সময়ের মধ্যে তিনি স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণ দিলেন।

ডেমোক্রেটরা যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো সীমান্তে বেড়া নির্মাণে তহবিল ছাড় দিয়ে অস্বীকৃতি জানানোর ফলে সৃষ্টি হয়েছিল ওই অচলাবস্থা। তবে ওই অচলাবস্থা আবার সৃষ্টি হতে পারে যদি আগামী সপ্তাহের শেষ নাগাদ তহবিল ছাড় সংক্রান্ত একটি পরিকল্পনায় সবপক্ষ একমত না হয়।

ভিয়েতনামের সামিট থেকে কি অর্জন হতে পারে এ বিষয়ে সিউল থেকে বিবিসির বিশ্লেষক লরা বাইকার একটি পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ওই সামিটে কিম জং উনকে বড় কোনো ছাড় না দিয়ে তার কাছ থেকে বড় কিছু আড়ায় করার লক্ষ্য নিতে পারেন ট্রাম্প।

এরই মধ্যে ট্রাম্পের প্রশাসন বলেছে, তারা উত্তর কোরিয়ার ওপর থেকে অবরোধ তুলে নিতে ইচ্ছুক নয়। তবে তারা উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতিতে সহায়তা করার কথা বলেছে। যদি উত্তর কোরিয়াকে এভাবে সহায়তা করে যুক্তরাষ্ট্র তাহলে তা নিয়ে অনেকেই ভ্রু কুঁচকাতে পারেন।
কারণ উত্তর কোরিয়া এখনও প্রকাশ করে নি তাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর তালিকা।
এমন কি নিরপেক্ষ কোনো পরিদর্শকদের অনুমোদন দেয় নি।

এক্ষেত্রে কিম জংয়ের কাছ থেকে লিখিত দলিল আদায় করে নেয়া উচিত ট্রাম্পের। অন্যথায় এমন সামিটকে শো হিসেবে দেখা হতে পারে। এর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য খুব সামান্যই হয়ে উঠবে।

-কেকে

FacebookTwitter

About Bangla Daily

একটি পরিপূর্ণ বাংলা অনলাইন পত্রিকা। মাতৃভাষার দেশ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সস্প্রচারিত হচ্ছে।

View all posts by Bangla Daily