আন্তর্জাতিকঃ
ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত না করলে গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল ভবনে হামলার মতো ঘটনা আবারও ঘটবে বলে মন্তব্য করেছেন ডেমোক্রেটরা।
আজ শুক্রবার বিবিসি জানিয়েছে, গতকাল মার্কিন সিনেটে ইমপিচমেন্ট প্রসিকিউটররা ক্যাপিটল ভবনে হামলার ঘটনায় ট্রাম্পের সম্পৃক্ততা প্রমাণ করতে হামলাকারীদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন।
প্রসিকিউটরদের দাবি, এই হামলার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি হয়েছে।
ডেমোক্রেট নেতারা সেদিনের ঘটনায় পুলিশ, ক্যাপিটল কর্মী, গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমের বিবরণ উপস্থাপন করে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রক্রিয়া চালিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ ট্রাম্পের আইনি দল সিনেটে ট্রাম্পের পক্ষে তাদের যুক্তি-প্রমাণ উপস্থাপন করবে।
ট্রাম্পের আইনজীবীদের যুক্তি, গত নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট ‘কারচুপি’র দাবি করা ট্রাম্পের বাকস্বাধীনতার অধিকারের মধ্যে পড়ে।
মার্কিন সিনেটের ১০০ আসনে বর্তমানে রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটদের সংখ্যা সমান। ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করতে হলে সিনেট সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশের ভোট প্রয়োজন।
রিপাবলিকান সিনেটরদের একটি বড় অংশ এখনো ট্রাম্পের প্রতি অনুগত থাকায় ধারণা করা হচ্ছে এবারও তিনি অভিশংসন থেকে রক্ষা পেয়ে যাবেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তি-প্রমাণে ট্রাম্প যদি দোষী সাব্যস্ত হন, তবে সিনেটের রিপাবলিকান নেতারা মত পাল্টে অভিশংসনের পক্ষেও ভোট দিতে পারেন।
ক্যাপিটল ভবনে গত ৬ জানুয়ারির সহিংসতায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়। সেদিন ট্রাম্পের একদল উগ্র সমর্থক নির্বাচনের ফল সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়া বন্ধ করতে সেখানে হামলা চালায়।
গত মাসে ট্রাম্পের উসকানিতেই ক্যাপিটলে হামলা হয়েছে অভিযোগ করেছে ডেমোক্রেট সংখ্যাগরিষ্ঠ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস (মার্কিন আইনসভার নিম্নকক্ষ)। হাউসের আইনপ্রণেতারা চলতি সপ্তাহে সিনেটরদের কাছে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন।
গত বুধবার সিনেটের ট্রায়ালে সহিংসতার নতুন ফুটেজ দেখানো হয়েছিল। এর মাধ্যমে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে হামলায় প্ররোচনা দেওয়ার প্রমাণ তুলে ধরা হয়।
গতকাল ট্রায়ালের উপসংহারে ডেমোক্রেটরা জানিয়েছেন, দেশের সম্পদ, মানুষ ও গণতন্ত্রের ক্ষতি করেছেন ট্রাম্প।
কংগ্রেসম্যান টেড লিউ বলেছেন, ‘অভিশংসন, দোষী সাব্যস্ত করা ও অফিসের জন্য অযোগ্য হিসেবে প্রমাণ করা কেবল অতীতের বিষয় না, এটা ভবিষ্যতের বিষয়ও।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, ট্রাম্প তার কর্মের জন্য বিন্দুমাত্র অনুশোচনাও দেখাননি। ‘এখানে এটাই নিশ্চিত করতে হবে যে, ভবিষ্যতে কোনো কর্মকর্তা বা প্রেসিডেন্ট যেন এই কাজ না করেন।’
আরও পড়তে পারেন:
মিয়ানমার সেনা সরকার ২৩ হাজার বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে
হাউস প্রসিকিউটর জো নেগুস বলেছেন, ট্রাম্প ‘কেবল একজন মানুষ’ হিসেবে সেদিন বিতর্কিত ভাষণ দেননি, তিনি তখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি এমন কিছু সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছিলেন যারা সহিংসতার জন্য প্রস্তুত ছিলেন এবং তারা ট্রাম্পের বক্তব্যের সঙ্গে নিজেদের ইচ্ছার মিল খুঁজে পেয়েছিলেন।’
-ডিকে