ঢাকাঃ
পরিবর্তিত বিশ্ব অর্থনীতির সাথে তাল মিলিয়ে ব্যবসায় প্রবৃদ্ধি অর্জনে টেকসই বিপণনে জোর দেয়ার আহবান এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশ মার্কেটিং ডে’ উদযাপন থেকে।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে মার্কেটার্স ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ (এমআইবি) এর উদ্যোগে দুই দিনের সম্মেলনের সমাপনী পর্বে অংশ নেন শিক্ষক, মার্কেটিং পেশাজীবি এবং ছাত্ররা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান।
সভাপতিত্ব করেছেন মার্কেটার্স ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ-এর সভাপতি অধ্যাপক মীজানুর রহমান।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা মন্ত্রী, এমএ মান্নান বলেন, ব্যবসায় প্রবৃদ্ধি অর্জনে টেকসই বিপণনের বিকল্প নেই এবং সেক্ষেত্রে প্রয়োজন দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন।
তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে এবং ইতিমধ্যে বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে প্রবেশ করেছে। সেক্ষেত্রে দক্ষ মানব সম্পদ গঠন করতে মার্কেটার্স ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ সুচিন্তিত ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এটা অবশ্যই প্রশাংসার দাবি রাখে।
মার্কেটার্স ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ-এর সভাপতি অধ্যাপক মীজানুর রহমান বলেন “প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তন, বিশ্বায়ন, এবং অধিকতর সামাজিক দায়বদ্ধতার কারণে টেকসই বাজারজাতকরণ ভবিষ্যতে আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
বাজারে প্রতিযোগিতা আরো তীব্রতার হবে, তারপরেও মুনাফাই অধিক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়গুলো অবহেলা করলে বৈষম্য এবং পরিবেশ দূষণ কমানো যাবে না। একটি ভালো বিশ্বের জন্য আমাদেরকে সামাজিক দায়বদ্ধত্বাসম্পন্ন বাজেতকরণের দিকে মনোযোগী হতে হবে সেটাই হবে টেকসই বাজারজাতকরণ।”
মার্কেটার্স ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশের সাধারন সম্পাদক শরীফুল ইসলাম দুলু বলেন, মার্কেটিং পেশাজীবীদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ভোক্তাদের সর্বাধিক সন্তূষ্টি প্রদানের লক্ষ্যে মার্কেটার্স ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ২০১৮ সাল থেকে দিবসটি উদযাপন করে আসছে।
তিনি জানান, প্রায় ৫০ লক্ষাধিক সেলস ও মার্কেটিং পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সকল পেশাজীবীদের একই প্ল্যাটফর্মে একত্রিত করে তাদের পেশাগত মানোন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সেবার উৎকর্ষ সাধনে কাজ করে যাচ্ছে মার্কেটার্স ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ।
পাশাপাশি দেশব্যাপী অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে ষষ্ঠবারের মত উদযাপিত হয়েছে বাংলাদেশ মার্কেটিং-ডে । দেশের প্রায় পঞ্চাশ লাখ মার্কেটিং পেশাজীবীদের অংশগ্রহণে দুইদিনব্যাপী এই বর্ণাঢ্য প্রাণের উৎসব সারাদেশে বিভিন্ন কর্পোরেট হাউজ এবং পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে কেক কাটা, র্যালি, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানাবিধ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে ১২ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় এবং করপোরেট হাউজে আয়োজিত হয়েছিল প্রি-মার্কেটিং ডে। পুরো আয়োজনের পাবলিক রিলেশন্সের দায়িত্বে ছিলো ব্যাকপেইজ পি আর।
-শিশির