আইন আদালতঃ
রবিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার এ তথ্য জানান।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) গণমাধ্যমকে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ রোববার সকাল আটটার দিকে বগুড়া সদর থানা–পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে মাসুমকে গ্রেপ্তার করে।

বগুড়া শহরের জনবহুল চারমাথা বাস টার্মিনারের ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের খাজা আবাসিক হোটেল থেকে খুনি মাসুম মোহাম্মদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর মাসুম মোহাম্মদ জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উপজেলায়। তিনি ঢাকায় বসবাস করেন।

গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর ব্যস্ত সড়ক শাহজাহানপুরের আমতলা মসজিদ এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুলকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় এলোপাতাড়ি গুলিতে রিকশারোহী কলেজছাত্রী সামিয়া নিহত হন।

আজ রোববার ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, হত্যার পরদিন রাতে ঢাকা থেকে একটি গাড়িতে করে জয়পুরহাটে যান মাসুম মোহাম্মদ। সেখান থেকে সীমান্ত পথে ভারতে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে সেদিন যেতে না পেরে তিনি বগুড়ায় ফিরে আসেন।

বগুড়া পুলিশের দেওয়া তথ্য মতে জানা যায়, হোটেলের দোতলায় ১ নম্বর রুমে অবস্থান করছিলেন শুটার মাসুম। মাসুমের ছবি আগেই পাঠানো হয়েছিল। সেই ছবি দেখে মাসুমকে শনাক্ত করা হয়। এ সময় মাসুম খুব ধীরস্থির ও স্বাভাবিক ছিলেন।

ধরা পড়ার পর অপকটে তিনি জাহিদুলকে গুলি করে হত্যার কথা স্বীকার করেন।

মাসুম বলেন, জাহিদুলকে লক্ষ্য করে তিনি গুলি করেছেন। কিন্তু পরে শুনেছেন, তাঁর গুলিতে একটি মেয়েও মারা গেছেন।

-কেএম

FacebookTwitter

About Bangla Daily

একটি পরিপূর্ণ বাংলা অনলাইন পত্রিকা। মাতৃভাষার দেশ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সস্প্রচারিত হচ্ছে।

View all posts by Bangla Daily