সারাদেশঃ
জয়পুরহাটের কালাইয়ের মাত্রাই ইউনিয়ন পরিষদের পাশে একটি পরিত্যাক্ত ঘর থেকে ভিজিডির ২৪০ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন।
সোমবার বিকালে গোপন সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফাজ উদ্দিন নিজেই মাত্রাই বাজারে গিয়ে এ চাল উদ্ধার করেন। পরে তা জব্দ তালিকা করে উপজেলা পরিষদে নিয়ে আসেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ সোমবার সকাল থেকে চালগুলো ওই ইউনিয়নের দুস্থ্য মহিলাদের মাঝে বিতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু তা বিতরণ না করে ওই ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) আবদুল হান্নান বিক্রির উদ্দেশ্যে পরিষদের পাশে একটি পরিত্যাক্ত ঘরে সরিয়ে রাখেন। সময় সুযোগে রাতের আঁধারে চালগুলো সরিয়ে নিতেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই এভাবেই গরীবের চাল বিক্রি করে আসছেন হান্নান। এ চাল চুরির সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, গত উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের পর সহিংসতায় ২ ব্যক্তি নিহত হওয়ার মামলার আসামী হিসাবে মাত্রাই ইউপি চেয়ারম্যান আ ন ম শওকত হাবিব তালুকদার লজিক কারাগারে আটক আছেন। তার অনুপস্থিতিতে ওই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুুল হান্নান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান।
এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার ইউনিয়নের হতদরিদ্র মহিলাদের মাঝে ভিজিডির চাল বিতরণ করার কথা। সে লক্ষ্যে আবদুুল হান্নান সোমবার সকালে কালাই উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে তার ইউনিয়নের মোট ৪৩৫ জন দুস্থ্য মহিলার বিপরীতে ৩০ কেজি ওজনের ৪৩৫ বস্তা চাল উত্তোলণ করে নিয়ে যায় মাত্রাই ইউনিয়ন পরিষদে।
এদিকে চাল চুরির অভিযোগ অস্বীকার করে মাত্রাই ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুল হান্নান বলেন, ৪৩৫ জন দুস্থ্য মহিলার মধ্যে ৪০৭ জনের মাঝে ওই চাল বিতরণ করা হয়েছে। যে চাল উদ্ধার করা হয়েছে, সেগুলো বিতরণকৃত চাল হতে পারে। এর দায় আমাদের নয়।
চাল উদ্ধার ও জব্দ তালিকার বিষয় নিশ্চিত করে কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফাজ উদ্দিন বলেন, ওই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি। চালগুলো উদ্ধারের পর জব্দ তালিকা করে উপজেলা পরিষদে আনা হয়েছে। ভিজিডির চাল কেউ বিক্রি করতে পারে না এমন আইন আছে।
-ডিকে