বিনোদনঃ
অস্কার জয়ী ও জেমস বন্ড খ্যাত অভিনেতা শন কানারি আর নেই। আটলান্টিক মহাসগরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পাশে অবস্থিত বাহামাস দ্বীপে ঘুমের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়।

তিনি কিছুদিন যাবৎ শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।

তার ছেলে জেসন জানান, ঘুমের মধ্যে শান্তিতেই মারা গেছেন তার বাবা। কানারি বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন বলেও জানান তিনি। ৩১ অক্টোবর, শনিবার এমন খবর প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও দ্য গার্ডিয়ান।

থ্রিলার অভিনয়ের জন্য বিখ্যাত এ অভিনেতা কানারি অস্কার, দুটি বাফটার, তিনটি গোল্ডেন গ্লোবস জিতেছেন। শন কানারি নিজেকে ‘জেমস বন্ড’ হিসেবে পরিচয় দিতে পছন্দ করতেন। ২০১৪ সালে স্কটল্যোন্ডের স্বাধীনতা পক্ষে অবস্থান নিয়ে রাজনীতির মাঠেও উত্তাপ ছড়ান শন কানারি।

ব্রিটিশ সাংবাদিক এবং ঔপন্যাসিক ইয়ান ফ্লেমিংয়ের গড়া চরিত্র জেমস বন্ডের ভূমিকায় সবচেয়ে প্রথম দেখা গিয়েছিল শন কনারিকে। ‘ডক্টর নো’, ‘ইউ অনলি লিভ টোয়াইস’, ‘ডায়মন্ডস আর ফরেভার’, ‘নেভার সে নেভার এগেইন’র মতো সিনেমাতে বন্ডকে জীবন্ত করে তুলেছিলেন তিনি।

গত শতকের ছয়ের দশকে রুপালি পর্দার বন্ডের চরিত্র এক সময় তার কেরিয়ারে তুমুল সাফল্য এনে দিয়েছিল। ১৯৬২-৮৩ পর্যন্ত একের পর এক ৭টি বন্ড-ছবিতে দেখা গিয়েছিল কনারিকে। ওই সময়কার ভক্তদের বিচারে সেরা ‘০০৭’ তিনিই।

এরপর ১৯৮৭ সালে বন্ডের নায়কের চরিত্র ছেড়ে পর্দায় নিজেকে ভাঙতে শুরু করেন শন কনারি। ব্রায়ান ডি পালমার পরিচালনায় আইরিশ পুলিশ হিসেবে তাকে রবার্ট ডি নিরো, কেভিন কস্টনার, অ্যান্ডি গার্সিয়ার সঙ্গে দেখা গিয়েছিল।

অস্কারের মঞ্চে সেই ক্রাইম ফিল্ম ‘দ্য আনটাচেবলস’র জন্য পেয়েছিলেন সেরা সহ-অভিনেতার শিরোপা। এরপর একের পর পুরষ্কার অর্জন করেন তিনি। ‘মার্নি’, ‘মার্ডার অন দ্য ওরিয়েন্ট এক্সপ্রেস’, ‘দ্য ম্যান হু উড বি কিং’, ‘আ ব্রিজ টু ফার’, ‘ফাইন্ডিং ফরেস্টার’ ছবিতে নিজের আদল ভেঙে জীবন্ত করেছেন একের পর এক চরিত্রকে। নিজ কর্মের জন্য অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড ছাড়াও ২টি বাফটা, ৩টি গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন এই অভিনেতা।

-কেএম

FacebookTwitter

About Bangla Daily

একটি পরিপূর্ণ বাংলা অনলাইন পত্রিকা। মাতৃভাষার দেশ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সস্প্রচারিত হচ্ছে।

View all posts by Bangla Daily