অনলাইনঃ
আজ কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতি পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে দাঁড়িয়ে এক মিনিটি নিরবতা পালন করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা,অধিনস্থ দপ্তরের প্রধানগণ,মন্ত্রণালয়ের সকল স্তরের কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন কৃষি মন্ত্রী ড.মো:আব্দুর রাজ্জাক এমপি।
মন্ত্রী বলেন,এবারের ঈদ খুব সুন্দর হয়েছে আনন্দের হয়েছে। যদিও যোগাযোগ ব্যবস্থা একটু অসুবিধা করেছে এটুকু অসুবিধায় এদেশের মানুষ অভ্যস্ত। আগামীতে এ অসুবিধা থাকবেনা।
বাংলাদেশের মানুষ দুর্যোগ দুর্বিপাক মেকাবেলা করে মাথা উচু করে বেচেঁ থাকার জাতি। তাঁরা শত কষ্টের মধ্যেও হাসতে যানে,আনন্দ করতে যানে। তারা সকল কিছু মোকাবেলা করে। এর ফলে তাদের আনন্দে ঘাটতি থাকে না। নানা সমস্যার মধ্যেই কাজ করতে হয় তাদের।
তিনি আরও বলেন;বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড ছিল আন্তর্জাতিক চক্রান্ত যার পিছনে ছিল পাকিস্তান ও তাদের এদেশের দোষররা। ইতিহাসের সব কিছু জানা যায় না,তবে কিছু জানা যায়। জানা যাওয়ার মধ্যে অন্যতম একটি হলো জিয়াউর রহমান সরাসরি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডে সম্পৃক্ত ছিল। তিনি অনেককে উস্কে দিয়ে এ হত্যাকান্ড সংগঠিত করেন। বেগম খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর বিচার নিয়ে অনেক তাল বাহানা করেছেন। প্রেক্ষাপট সবসময় এক থাকে না ২০০৯ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা বিশ্ব মানবতার মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার শুরু হয়,এখন শুধু বাকি পলাতকদের বিভিন্ন দেশ থেকে এনে বিচার কার্য সম্পন্ন করা।
বিএনপি নেতা মওদুদসহ তার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের এ যুগের শয়তান হিসাবে উল্লেখ করেছেন মন্ত্রী।ব্যরিস্টার মওদুদ যখন আইনমন্ত্রী ছিলেন। তখন,বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেননি। পরে আইন করে বিচার বন্ধ করেছিল। সে আইন বাতিল করা হয়েছে,তারপরও এই হত্যাকান্ডের বিচার হয়নি। তারা বঙ্গবন্ধু সঙ্গে ছিল,বঙ্গবন্ধুর আলোতে আলোকিত ছিল। জাতীয় পার্টি করেছে,যখন এরশাদ এসেছে। পরে একনায়ক এরশাদ চলে জাওয়ার পরে গণতন্ত্রের লেবাস পড়ে বিনপিতে চলে গিয়েছিল।
তিনি বলেন,মওদুদরা হলেন এদেশের ‘জিনিয়াস ইভিল’ শয়তান। এই শয়তানদের জন্য দেশটা পিছিয়ে গেছে। যে আদর্শে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, সেটি অব্যাহত থাকলে দেশ এগিয়ে যেত, সেজন্য আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় থাকতে হববে তা নয়। সকল মানুষের জন্য ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে হবে।
এবারের বন্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন; পদ্মা,মেঘনা,যমুনার অববাহিকায় বসবাসরত এ দেশের ,মানুষ প্রকৃতির সাথে সংগ্রাম করে বেচেঁ রয়েছে যুগ যুগ ধরে। এবারের বন্যায়ও তাই করেছে। আল্লাহর রহমতে এবারের বন্যায় ফসলের তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ক্ষতি হয়েছে বীজ তলার, সেখানে চাষিদেরও ছিল সরকারের ছিল আর কিছু পাট ও সবজি। তবে আমনের যে লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা অর্জন হবে।
পানির কারনে যে সব জায়গায় ধান চাষ করা যাবে না সে সব যায়গায় রবি শস্য আবাদ করা হবে। কৃষদের বিনামুল্যে বীজ সারসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ দেয়া হবে। পানি নামার সাথে সাথে যাতে করে কৃষক চাষাবাদ করতে পারে সে জন্য সব জেলায় ইতোমধ্যে মাসকালাই বীজ প্রেরণ করা হয়েছে চাষের জন্য।
সনাতন কৃষি থেকে আধুনিক,বাণিজ্যিক কৃষিতে যেতে হবে । তা নাহলে কৃষি ও কৃষকে বাঁচানো যাবে না।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ইতোমধ্যে ১শ ২০ কোটি টাকা প্রণোদনা বাবদ বরাদ্ধ রাখা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন প্রয়োজনে আরও বেশি দেয়া হবে; জানালেন কৃষি মন্ত্রী।
সভাপতি বক্তৃতায় কৃষি সচিব মো: নাসিরুজ্জামান বলেন এবারের বন্যায় সর্বোচ্চ ১শ কোটি টাকার বেশী ক্ষতি হয়নি। ক্ষতি যা হয়েছে বীজতলা কিছু পাট ও সবজির। বন্যার ক্ষয় ক্ষতি আমরা সহজে পুষিয়ে নিতে পারবো।
যুগ্মসচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল এর সঞ্চালনায় প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান ।
-কেএম