শিক্ষাঃ
জিপিএ-৫’র পরির্বতে জিপিএ-৪ চালু করতে যাচ্ছে সরকার। যা এ বছরের জেএসসি পরীক্ষা থেকেই এই কার্যকর করা হবে। প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষার সব স্তরে এই পদ্ধতিতে পরীক্ষার রেজাল্ট দেয়া হবে।
এ পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে এ মাসেই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে জানা গেছে।
মূলত আন্তর্জাতিক শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জিপিএ- ৪’র গ্রেডিং বিন্যাস চূড়ান্ত করা হচ্ছে। এজন্য ঢাকা শিক্ষা বোর্ডকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে।
নতুন পদ্ধতি অনুসারে, পিএসসি হতে এসএইচসি পরীক্ষায় ৯০ থেকে ১০০ নম্বর প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের লেটার গ্রেড ‘এ-প্লাস’ ও গ্রেড পয়েন্ট হবে ৪, ৮০ থেকে ৮৯ নম্বর প্রাপ্তদের লেটার গ্রেড ‘এ’ ও গ্রেড পয়েন্ট ৩.৫, ৭০ থেকে ৭৯ নম্বর প্রাপ্তদের লেটার গ্রেড ‘বি প্লাস’ ও গ্রেড পয়েন্ট ৩, ৬০ থেকে ৬৯ নম্বর প্রাপ্তদের লেটার গ্রেড ‘বি’ ও গ্রেড পয়েন্ট ২.৫, ৫০ থেকে ৫৯ নম্বর প্রাপ্তদের লেটার গ্রেড ‘সি প্লাস’ ও গ্রেড পয়েন্ট ২, ৪০ থেকে ৪৯ প্রাপ্তদের লেটার গ্রেড ‘সি’ ও গ্রেড পয়েন্ট ১.৫, ৩৩ থেকে ৩৯ প্রাপ্তদের লেটার গ্রেড ‘ডি’ ও গ্রেড পয়েন্ট হবে ১।
এছাড়া শূন্য থেকে ৩২ প্রাপ্তদের লেটার গ্রেড ‘এফ’ ও গ্রেড পয়েন্ট হবে শূন্য।
এ বছরের জেএসসি পরীক্ষা এবং ২০২১ সাল থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফল জিপিএ-৫’র পরিবর্তে জিপিএ-৪’এ প্রকাশ করার লক্ষ্যে গত বছরের মাঝামাঝি থেকে কাজ শুরু করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, নতুন গ্রেড পদ্ধতি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ বছর (২০২০ শিক্ষাবর্ষ) থেকে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার মাধ্যমে এটি বাস্তবায়ন করা হতে পারে।
২০২১ সাল থেকে এসএসসি-সমমান ও এইচএসসি-সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৪ কার্যকর করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছর ৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে গ্রেড পরিবর্তনসংক্রান্ত এক কর্মশালায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সভায় পাবলিক পরীক্ষায় গ্রেড পরিবর্তন কমিটির সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শাহাদাত হোসেন নতুন গ্রেড পদ্ধতি প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন। এরপর উপস্থিত শিক্ষাবিদসহ বিভিন্ন স্তরের বিশেষজ্ঞদের সম্মতিতে খসড়া প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করা হয়।
-কেএম