শিক্ষাঃ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে সর্বাত্মক ধর্মঘট চলছে।
এসময় আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ও পুরাতন প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে রেখেছে। এছাড়াও বন্ধ আছে সব ধরনের প্রশাসনিক কার্যক্রম।
২ অক্টোবর, বুধবার সকাল ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ও পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে এ অবরোধ শুরু করেন তারা। অবরোধ চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত।
এদিকে অবরোধ চলায় কোনো অফিসে প্রবেশ করতে পারেনি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। প্রবেশের আশায় বিভিন্ন অফিসের সামনে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের।
অবরোধের পাশাপাশি ক্যাম্পাসে সর্বাত্মক ধর্মঘট পালন করছেন আন্দোলনকারীরা। ক্লাস পরীক্ষা নেওয়া থেকে বিরত রয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষকরা। এছাড়া ধর্মঘটের ফলে ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বহনকারী কোনো বাস ক্যাম্পাসের বাইরে ছেড়ে যেতে পারেনি।
এ ব্যাপারে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ আন্দোলনের অন্যতম মুখপাত্র জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম পাপ্পু বলেন, ‘আমরা উপাচার্যকে ১ অক্টোবরের মধ্যে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের সুযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি তা করেননি। এখন আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে অপসারণ করব। আজকের মতো কালও সর্বাত্মক ধর্মঘট চলবে। এরপর আরো কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া হবে।’
এর আগে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১টায় ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার পাদদেশে উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে পূর্ব ঘোষিত আল্টিমেটামের শেষ দিনে লাল কার্ড প্রদর্শন করেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আজ এবং কাল সর্বাত্মক ধর্মঘটের ডাক দেন তারা।
অন্যদিকে ধর্মঘটের ঘোষণার পর উপাচার্যপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। এর মধ্যে আজ দুপুরে মানববন্ধন কর্মসূচি এবং আগামীকাল জন-সংযোগ।
এদিকে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম আন্দোলনকারীদের দাবিকে ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়ে পদত্যাগ করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।
তিনি বলেন, ‘বিচার-বিভাগীয় তদন্তের যে দায়িত্ব আমাকে আন্দোলনকারীরা দিয়েছে, সেটি অযৌক্তিক। আমি নিজের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে বা চাইতে পারিনা। এটি সরকার অথবা বিচার বিভাগ চিন্তা করবে। এখানে অযৌক্তিক দাবি নিয়ে আমাকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগে আহ্বান করা হচ্ছে।’
-কেএম