সারাদেশঃ
আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে অতি দরিদ্রদের জন্য সরকারের সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী কার্যক্রম ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ) কর্মসূচির ৬৩ দশমিক ৩০০ মেট্রিক টন চাল নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা শহরের দুই ব্যবসায়ীর গুদাম হতে জব্দ করা হয়েছে।
শুক্রবার(৯ আগস্ট) বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজাউদ্দৌলা ওই চাল জব্দ করে গুদাম দুইটি সিলগালা করে দেন।
প্রত্যেক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, জব্দকৃত চালের বস্তার পরিমান ৩০ কেজি ওজনের দুই হাজার ১১০। এর মধ্যে উপজেলার চাল ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেনের গুদামে এক হাজার ৫৮০ বস্তা এবং সিরাজুল ইসলামের গুদাম থেকে ৫৩০ বস্তা চাল জব্দ করা হয়।
ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন ও সিরাজুল ইসলাম জানান, সরকারিভাবে চাল ক্রয়ে খাদ্য বিভাগের সঙ্গে তাদের চুক্তি রয়েছে। ওই চুক্তি অনুযায়ী খাদ্য বিভাগ তাদের সরকারি খালি বস্তা সরবরাহ করেছেন।
সুত্র মতে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে এই উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ৭৮ হাজার অতি দরিদ্র পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য সরকারিভাবে ভিজিএফের ১ হাজার ১৭০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়।
ওই কর্মসুচিতে সুবিধাভোগীরা পরিবার প্রতি ১৫ কেজি করে চাল পাবেন। গত তিন দিন ধরে এই চাল বিতরণ শুরু হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাতের আধারে উল্লেখিত দুই ব্যবসায়ীর গুদামে বেশ কিছু পরিমান ভিজিএফের চাল মজুদ করা হয়। বেশ কিছু জনপ্রতিনিধি এ চাল ওই দুই ব্যবসায়ীর কাছে গোপনে বিক্রি করে দেন।
জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজাউদ্দৌলা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে দুইজন ব্যবসায়ীর গুদামে ৩০ কেজি ওজনের দুই হাজার ১১০ বস্তা।
সরকারি বস্তায় প্রায় ৬৩ মেট্রিক টন চাল পাওয়া গেলে তা তাৎক্ষনিক ভাবে জব্দ করা হয়। ওই চাল পরিবহন করে নিয়ে আসার অভিযোগে একটি মালবাহি ট্রাক আটক করা হয়েছে।
এঘটনায় উপজেলা ত্রান ও পূণর্বাসন কর্মকর্তা ময়নুল হক বাদী হয়ে জলঢাকা থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, এই চাল কারা ওই দুই ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে জলঢাকা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি তা রিসিভ করেননি!