ডেস্ক রিপোর্টঃ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন।
স্থানীয় জনগণ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রত্যাশা করেন তিনিই হবেন আগামীর নৌকার মাঝি এবং স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা গড়ার কারিগর।
চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির পর পর তিন কমিটির সদস্য তিনি।
গণমানুষের আস্থা দিলীপ কুমার আগরওয়ালা এবার চমক দেখাবেন, তিনিই মনোনয়ন পাচ্ছেন! এমনই প্রত্যাশা এলাকার সাধারন মানুষের।
উল্লেখ্য, গত রোববার তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেন এবং মঙ্গলবার জমা দেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সকল শহর থেকে শুরু করে গ্রাম-গঞ্জে, হাটে-বাজারে, চায়ের দোকানে, দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে সরব আলোচনা নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে নিয়ে।
তিনি দীর্ঘ ১৫/২০ বছর ধরে চুয়াডাঙ্গা জেলার আওয়ামী লীগের রাজনীতির একটি শক্তিশালী দুর্গ গড়ে তুলেছেন। মান-অভিমানে ঘরে চুপিসারে বসে থাকা আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে, তাদের বুঝিয়ে এক কাতারে দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছেন। এলাকার সকল নেতাকর্মীকে মূল্যায়নের মাধ্যমে তিনি যে জনসমর্থন সৃষ্টি করেছেন ।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দিলীপ কুমার আগরওয়ালার যে কোন পথসভা, কর্মী সমাবেশ, উঠান বৈঠক জনসমুদ্রে রূপ নেয়।
দিলীপ কুমার আগরওয়ালা মনেই হাজার হাজার নেতাকর্মীদের ভীড়। তিনি প্রায় শতাধিক পথসভা, কর্মী সমাবেশ, উঠান বৈঠক করেছেন।
সবখানেই তিনি একটি কথা বলে এসেছেন, নৌকা যার, আমি তার। নৌকার মনোনয়ন যিনি নিয়ে আসবে আমি তার পক্ষে কাজ করবো।
প্রত্যেকটি জনসভায় তিনি আওয়ামীলীগ সরকারের বিগত টানা ১৫ বছরের উন্নয়ন তুলে ধরেছেন।
প্রত্যেকটি কর্মীসভায় তিনি কর্মীদের শিখিয়েছেন ,কিভাবে আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়নের কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। তিনি স্বপ্ন দেখিয়েছেন, কিভাবে চুয়াডাঙ্গাকে স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা করবেন।
দিলীপ কুমার আগরওয়ালা তার মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত তারাদেবী ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দুইটি এম্ব্যুলেন্স চব্বিশ ঘন্টা সেবা প্রদান করে আসছে। গরীব শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা বৃত্তি ও মিড ডে মিল এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য হুইল চেয়ার বিতরণ করেছেন।
করোনাকালীন সময়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের মাধ্যমে ৭৫০০০ মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। অসংখ্য গরীব মানুষকে নগদ অর্থ ও চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছেন।
এছাড়াও তিনি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সেক্টরে আর্থিক সহযোগিতা করেছেন।
দিলীপ কুমার আগরওয়ালার প্রতি সকল শ্রেনী পেশার মানুষের ভালবাসার মুল কারনঃ তিনি কর্মী বান্ধব। তিনি পরোপকারী, তিনি গরীব দুঃখী মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থেকে সকলের আস্থার একজন মানুষ হিসাবে পরিচিত লাভ করেছেন।
অনেকেই আদর করে বলেন আমাদের এমপি! অনেকেই বলেন বাবু দিলীপ কুমার আগরওয়ালা মানেই চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের মানুষের স্বপ্নসারথি।
জনপ্রিয়তায় তুঙ্গে থাকা নেতাকে নিয়ে সকলেই আশাবাদী এবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তার বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতা এবং রাজনৈতিক রনকৌশলকে সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে নৌকার মনোনয়ন দেবেন, এমনই প্রত্যাশা এলাকার মানুষের।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এবং সাবেক চেয়ারম্যান কাওসার আহম্মেদ বাবলু বলেন, বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পারিবারিক তন্ত্র কায়েম করেছেন। সেই জায়গা থেকে আমাদের নেতা দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ব্যক্তি উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গার মানুষের কল্যাণে ও উন্নয়নে গত ১৫ বছর যাবত কাজ করে যাচ্ছেন। তাই তাকে আমরা নৌকা মাঝি হিসেবে চাই।
চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার বলেন, দিলীপ কুমার আগরওয়ালা নিসন্দেহে একজন কর্মী বান্ধব নেতা।
তৃণমূল নেতাকর্মীদের সুখে-দুঃখে তিনি তাদের পাশে থাকেন। কিন্তু চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের বর্তমান এমপি দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছেন। দিলীপ কুমার এমপি হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত এ অঞ্চলে আরও শক্তিশালী হবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সাবেক চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান জিল্লু বলেন, আওয়ামী লীগ ও এর অংগ সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের চাওয়া নৌকার হাল করুক দিলীপ কুমার। আমরা তাকেই চাই। যারা পরিবার কেন্দ্রীক রাজনীতি করে তাদের চাই না।
দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক, আমি নৌকার পক্ষে, দল যাকে নৌকার মনোনয়ণ দেবে তার পক্ষে আমি কাজ করবো।
দিলীপ বলেন, আমি সব সময় বলে আসছি, নৌকা যার, আমি তার।
দলীয় হাইকমান্ড অবশ্যই আমার জনপ্রিয়তা, করোনার সময় আমার কার্যক্রম এবং সাধারণ মানুষের চাওয়া-পাওয়াকে বিবেচনা করবেন।
উল্লেখ্য, তিনি ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফ বি সি সি আই এর পাঁচ বারের পরিচালক ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস) এর ৪ কমিটির সাধারন সম্পাদক, চুয়াডাঙ্গা জেলার ৮ বারের সর্বোচ্চ করদাতা এবং ৮ বারের কমার্শিয়ালি ইমপরট্যান্ট পার্সন (সি আই পি)।
-শিশির