মতামতঃ

করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের ট্রিটমেন্টের জন্য চীন ১০০০ বেডের হসপিটাল বানাইছে ৬ দিনের মধ্যে!🤔 তারা এক মাসের মধ্যে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে ফেলছে!!🤔🤔

আর একইরকম অ্যাটাক করোনা ভাইরাস বাংলাদেশে করলে এতদিনে মহামারী লেগে যাইতো। হাসপাতালের বারান্দায়ও রোগীদের জায়গা হইতো না। নতুন হসপিটাল বানানোর ডিজাইন দেখতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ১৫ সদস্যের স্পেশাল টিম সিংগাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ দেখতে যাইতো ৭ দিনের সফরে। তারপর দেশে আইসা হাসপাতাল বানানো শুরু হইতো। যে হাসপাতালের বালিশের দাম হইতো ৮০০০ টাকা, পর্দার দাম হইতো ৩৫ হাজার টাকা, সিলিং ফ্যানের দাম হইতো ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা!!😋😋😋

ওবায়েদুল কাদের সাহেব ঘোষণা দিতেন পল্টন থেকে বিএনপির সবাই মিলে হাঁচি দেয়ার কারণে এই ভাইরাস সারা দেশে ছড়াইছে। অন্তরে জামাত বলতো,বর্ডার দিয়ে এই ভাইরাস দেশে আনা হইছে।এত পিছনে RAW এর হাত সু-স্পষ্ট।

এদিকে সিলেট থেকে আমাদের জনৈক স্যার বৃহস্পতিবার স্ট্যাটাস দিতেন,…… ” অনেকদিন পর আমরা আবার এমন একটি জাতীয় সংকটের সামনে এসে দাঁড়িয়েছি। এমন আরও একটি সংকট আমাদের সামনে এসেছিলো সেই ১৯শ একাত্তর সালে।”

দোকানদাররা সব মাস্ক স্টক কইরা ফেলতো। ১০ টাকার মাস্ক ৫০০ টাকা দিয়া বিক্রি হইতো।

আমজনতা বলতো, “পদ্মাসেতু চাই না, আমরা মেডিসিন চাই, ভ্যাকসিন চাই।”

তারপর ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য ১০১ সদস্যের টিম বিশ্বভ্রমণে বের হইতো। তারা বিভিন্ন দেশে দেশে ট্যুর দিয়া দিয়া টিকটিক ভিডিও বানানোর পাশাপাশি টুকটাক কাজ টাজও করতো।

আর দেশে থাকা সর্বোচ্চ জ্ঞানী #চর্মনাই আর কুয়াকাটা মাইকে চিল্লায়া ঘোষণা দিতো দেশে আল্লাহর গজব পড়ছে। মেয়ে মানুষ জিন্সের প্যান্ট আর গেঞ্জি পরছে বইলা এই ভাইরাস ছড়াইছে। বোরকা আর হিজাব পরলে এই ভাইরাস ছড়াইতো না।দুই কদম এগিয়ে সুন্নিজামাত কইতো সব দোষ #আজহারীর তার বেয়াদবির কারণে দেশে গজব আইছে!

দেশে ফিরে আসা পরিদর্শন টিম বিদেশীদের আইডিয়া ৯৮% চুরি কইরা ২% নিজেরা দিয়া ভ্যাকসিন আবিষ্কার কইরা ফেলতো। সেই ভ্যাকসিন দেয়ার পর দেখা যাইতো মানুষজন জায়গায় কাইত! দিতেছে আর মরতেছে। উল্টা রিএকশন।

আমজনতা এইটারে ইন্ডিয়ার বিশাল চাল মনে কইরা বর্ডারে হামলা চালাইতে যাইতো। বিএসএফের গুলিতে বার তের হাজারজন মারা যাইতো।

তারপর বাধ্য হইয়া বিদেশিদের হাতে পায়ে ধইরা ভ্যাকসিন বানায়া দিতে বলা লাগতো। তাদের বানানো ভ্যাকসিন দেশে আইনা বস্তায় বস্তায় সব জায়গায় ছড়ানো হইতো। কোনো এলাকায় ৬ বস্তা পাঠাইলে দেখা যাইতো ৪ বস্তা নাই হয়া গেছে।

মোটামুটি সবাইরে ভ্যাকসিন দিতে দিতে পরের ইলেকশন চইলা আসতো। তখন বড় সিরিঞ্জের ভেতরে ভ্যাকসিন ঢোকায়া সেইটারে শোপিস হিসেবে হাতে নিয়া মাইনসের বাড়ি বাড়ি যাইয়া নায়ক ফেরদৌস জিজ্ঞাসা করতো, এই ভ্যাকসিন আপনাদের কে দিয়েছে? কে দিয়েছে? বলেন না কেন? বলেন, বলেন…!!

-ফেসবুক থেকে

FacebookTwitter

About Bangla Daily

একটি পরিপূর্ণ বাংলা অনলাইন পত্রিকা। মাতৃভাষার দেশ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সস্প্রচারিত হচ্ছে।

View all posts by Bangla Daily