অনলাইনঃ
ট্রেন দুর্ঘটনা রোধে চালকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিতে রেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১২ নভেম্বর, মঙ্গলবার সচিবালয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় তূর্ণা নিশীথা ও উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের রেলমন্ত্রী চলে গেছেন ওখানে (দুর্ঘটনাস্থল)। আমাদের সকলেই সেখানে উদ্ধারকাজে যুক্ত রয়েছেন। এ দুর্ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বুলবুলের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারলাম। কিন্তু দুভার্গ্য যে এ ধরনের একটা ঘটনা ঘটে গেল। আর আমি জানি না কেন, এই শীত মৌসুম আসলেই কিন্তু শুধু আমাদের দেশে নয়, সারা বিশ্বেই আমি দেখেছি যে রেলে এই দুর্ঘটনাটা ঘটতে থাকে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাদের যারা রেলে কাজ করে তাদের আরো সতর্ক করা উচিত। সেইসঙ্গে যারা রেলের চালক তাদেরও প্রশিক্ষণের প্রয়োজন।’
রেল যোগাযোগটা সবচেয়ে নিরাপদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা এটার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। আমরা এখন নতুন নতুন রেল সম্প্রসারণ করে দিচ্ছি। পণ্য পরিবহন, মানুষ পরিবহনসহ সব ক্ষেত্রে রেল নিরাপদ।
যাহোক, এটা দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। যারা মারা গেছে তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। যারা আহত হয়েছে তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’
এ সময় ট্রেন দুর্ঘটনায় যা যা করা প্রয়োজন সব করছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাত পৌনে ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণা নীশিতার মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো অর্ধশতাধিক যাত্রী।
এ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে এখন পর্যন্ত তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি ও রেলওয়ে থেকে দু’টি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।