অনালাইনঃ
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেছেন, ‘গ্যাসের দাম বাড়নো নিয়ে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে আলোচনা চলছে, বিভিন্ন কোম্পানি ও প্রস্তাব দিয়েছে।
ভোক্তারাও তাদের অনুরোধ ও মন্তব্য করছেন। তবে এখানো এ বিষয়টি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাভারের বিরুলিয়ার খাগান এলাকার ব্র্যাক সিডিএমে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল সম্মেলন অন এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশে গ্যাসের পরিমাণ সীমিত। এদিকে সরকার এলএমজি গ্যাস আমদানি করছে। তবে এলএমজি গ্যাস দেশীয় গ্যাসের দামের চেয়ে বেশি। দেশীয় ও আমদানিকৃত গ্যাসের মধ্যে দাম সমন্বয় করে দিলে ভোক্তাদের জন্য ব্যয়বহুল হবে না। দেশে নতুন গ্যাস এলে প্রথমে বিদ্যুৎ ও পরে শিল্প ও তার পরে সারে দেয়া হবে। তার পরপরেই বাসা বাড়িতে গ্যাস দেয়ার চিন্তাভাবনা করা হবে।
তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দেশ বিদেশের খ্যাতনামা জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেন। এতে বাংলাদেশের হয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪ জন শিক্ষার্থী প্রতিনিধিত্ব করছেন।
সম্মেলনে পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিংবিষয়ক শিক্ষার অবকাঠামো ও নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহারসহ ৩৬টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।
সম্মেলনে এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভার্জিনিয়া টেক ইউনিভার্সিটির প্রফেসর সাইফুর রহমান, চায়নার স্টেট গ্রিড কর্পোরেশনের ড. ইউ জুন, অস্ট্রেলিয়া অব ইউনিভার্সিটির প্রফেসর তপন কুমার সাহা, অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর সাইদ ইসলাম, ভারতের পোসোকোর ড. সুশীল কুমার সোনি ও পাওয়ার রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কনসাল্টেন্ট ড. নাগারাজা রামাপ্প।