আন্দোলনঃ
গভীর উদ্বেগ ও বেদনার সাথে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সন্তানদের সংগঠন প্রজন্ম ৭১ লক্ষ করছে যে, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাহিত করার আগে বিধিমোতাবেক রাষ্ট্রীয় সম্মানসূচক গার্ড অব অনার দিতে।
জেলা প্রশাসক/ইউএনও/পুলিশ প্রশাসনে নারী কর্মকর্তার স্থলে অন্য কোনা পুরুষ কর্মকর্তা এ কাজটি করবেন বলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটিতে প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রজন্ম ৭১-এর পক্ষ থেকে আমরা এই ন্যাক্কারজনক প্রস্তাবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি। এ প্রস্তাব মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী, নারীবিদ্বেষী, সা্প্রদায়িক ও সংবিধান বিরোধী। এই প্রস্তাবের মাধ্যমে কুৎসিত পুরুষতান্ত্রিক ও মৌলবাদী মনোবৃত্তি প্রকাশ পেয়েছে বলে আমরা মনে করি।
একই সাথে নারীর মৌলিক অধিকার পরিপন্থী, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, সাম্প্রদায়িক ও সংবিধানের মূলনীতির বিরোধী এ ধরণের নিন্দনীয় কোনো উদ্যোগ যেন আগামীতে কেউ গ্রহণ করতে না পারেন সেজন্য প্রস্তাবকারীদের দুঃখ প্রকাশের আহ্বান জানাই। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে এই প্রস্তাব/সুপারিশ প্রত্যাখ্যানেরও জোরালো দাবী জানাই।
বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নারীদের ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিতে যে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে আসছেন, সেই উদ্যোগকে প্রজন্ম ৭১ সবসময় স্বাগত জানায়।
একাত্তরের নির্যাতিত নারীদের মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া, আবেদনপত্রে বাবার নামের পাশাপাশি মায়ের নাম সংযুক্ত করার নির্দেশনা, সরকারের বিভিন্ন উচ্চপদে নারী কর্মকর্তা নিয়োগ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুর পর সমাহিত করার আগে গার্ড অফ অনার প্রদান করে সম্মান প্রদর্শন করার ব্যবস্থা তার মধ্যে কয়েকটি ইতিবাচক মহতী উদ্যোগ।
তাই আমরা আশা করবো নারী ও মুক্তিযুদ্ধবান্ধব সরকারের উজ্জ্বল অঙ্গীকারকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির এহেন প্রস্তাব গ্রহণের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকার কোনভাবেই কালিমালিপ্ত হতে দেবেন না।
জয় বাংলা। শহীদের আদর্শ বাস্তবায়িত হোক।। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।।
-শিশির