রাজনীতিঃ
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (গাসিক) বহিষ্কৃত মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রম ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে ক্ষমা পেয়েছেন।
এছাড়াও ক্ষমা প্রার্থনা করে আবেদন করা শতাধিক ক্ষমার চিঠি তৈরি আছে। ক্ষমাপ্রার্থীরা আওয়ামী লীগের দপ্তর থেকে চিঠি সংগ্রহ করতে পারবেন বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগের দপ্তর সূত্র।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়ার কাছ থেকে এ চিঠি গ্রহণ করেন তিনি।
এসময় দলীয় সভাপতির কার্যালয়ে সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন।
গত ১ জানুয়ারি তারিখ উল্লেখ করা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, আপনার বিরুদ্ধে আনীত সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডের অভিযোগ স্বীকার করে আপনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। এবং ভবিষ্যতে সংগঠনের গঠনতন্ত্র নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কোন কার্যকলাপে সম্পৃক্ত হবেন না মর্মে লিখিত অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। এমতাবস্থায় গত ১৭ ডিসেম্বর গণভবনে অনুষ্ঠিত দলের জাতীয় কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গঠণতন্ত্রের ১৭(৬) এবং ৪৭(২) ধারা মোতাবেক আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নিকট সাধারণ ক্ষমা প্রার্থনা করে আপনার লিখিত আবেদন পর্যালোচনা করে এবং ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী কর্মকান্ড ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে আপনার প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করা হলো।
চিঠিতে ভবিষ্যতে কোন প্রকার সংগঠনবিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত হলে তা ক্ষমার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর গতবছরের ১৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সভায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীসহ বিভিন্ন কারণে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি এবং নানা বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলমকে ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এই বহিষ্কারাদেশের পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় জাহাঙ্গীর আলমকে সিটি করপোরেশনের মেয়রের পদ থেকেও অব্যাহতি দেয়।
-আরপি