অর্থনীতিঃ
বাংলাদেশের অর্থনীতির সবচেয়ে সুন্দর সময় আমরা এখন পার করছি। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে এখন সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে চলেছি। গত দুই দশকে পৃথিবীতে কয়েকবার অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল।
১৯৯৭ সালে সারা বিশ্বে যে মহা অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল তাতে ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়াসহ এশিয়ার বেশ কিছু দেশ চরম অবস্থায় পতিত হয়।
আর ২০০৮ সালের বিপর্যয়ে খোদ আমেরিকাসহ অনেক দেশে চরম অবস্থার সষ্টি হয়। কিন্তু তখনও আমাদের অর্থনীতি বিপর্যের সম্মুখীন হয়নি। এখন পৃথিবীতে তৃতীয় চরম অবস্থা বিরাজ করছে আর সেটি হচ্ছে তথাকথিত বানিজ্য যুদ্ধ। চলমান এই বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাবে সারাবিশ্বের অথনীতিতে নিম্নমুখীতা দেখা দিয়েছে। এতে চীনের প্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক চার শতাংশ থেকে ৭ শতাংশে নেমে গেছে, কিন্তু বাংলাদেশের অথনীতি এগিয়ে যাচ্ছে।
আমাদের প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। এটাকে কোন কল্প কাহিনীর মত মনে হলেও এটাই বাস্তবতা। এতে সবচেয়ে বড় অবদান বাংলাদেশের মানুষের। কেননা আমাদের উৎপাদন আর চাহিদা আমাদের নিজেরাই তৈরি করি। ফলে আমাদের আথিক খাতে এই মুহুর্তে কোন রকম ঝুঁকি নেই। ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক সভার অংশ হিসেবে আইএমফের দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্ট উয়িং শেফার; বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা, ভুটানের নিবাহী পরিচালক অপর্ণা সুভ্রামনি; ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারমন ও আইএমএফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মিথসুহিরো ফুরুসাওয়ার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এক ব্রিফিং-এ মাননীয় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন।
এ সময় মাননীয় অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ বাংলাদেশের অথনীতির ভূয়সী প্রশংসা করেছে। আমাদের অগ্রগতি দেখে তারা অভিভূত। অন্য দেশগুলোর কাছে আমাদেরকে তারা ইতিবাচক ভাবে উপস্থাপন করছে। আইএমএফে তাদের আউটলুকে বলেছে এ বছর শেষে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। যদিও এটি আমাদের প্রক্ষেপন থেকে বেশ কম তথাপিও আইএমএফ-র ইতিহাসে অন্য যে কোন দেশের তুলনায় এটি এখন পর্য়ন্ত সর্বোচ্চ। আমাদের রয়েছে কর্মদক্ষ ভবিষ্য যুবশক্তির সম্ভাবনা।
২০৩০ সাল নাগাদ ৩ কোটি যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে এবং তখন কারোর কর্মসংস্থানের অভাব থাকবে না।
বর্তমানে বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থা খুবই ভালো অবস্থানে রয়েছে। বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ বাংলাদেশের আর্থিক অবস্থানের প্রসংশা করেছে। প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশ বিশ্ব সেরা। দুটি দ্বীপ রাষ্ট্র ছাড়া বাংলাদেশের সামনে কেউ নেই।
দেশের সার্বিক অগ্রগতির রুপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের প্রবৃদ্ধি অর্জনে সকল পর্র্ায়ের সকল পেশা ও শ্রেণীর মানুষের অবদান রাখছেন। কৃষি খাতে ২০, শিল্পে ৩০ ও সেবাখাতের অবদান রয়েছে ৫০ শতাংশ।
এসকল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের অর্থ বিভাগের সচিব আ্বদুর রউফ তালুকদার, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মনোয়ার আহমেদ, বিশ্ব ব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এবং ওয়াশিংটনে নিযুক্ত ইকনোমিক মিনিস্টার মো: সাহাবুদ্দিন পাটোয়ারী।
-শিশির