তথ্য প্রযুক্তিঃ
দক্ষ সাইবার নিরাপত্তা কর্মী খুঁজে বের করতে অ্যাট বাংলাদেশ-এর আয়োজনে দেশে দ্বিতীয়বারের মতো শুরু হচ্ছে ‘ক্যাসপারস্কি সাইবার সিকিউরিটি চ্যালেঞ্জ ২০১৯’ শীর্ষক প্রতিযোগিতা।
আগামীকাল ১০ ডিসেম্বর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাক্টিভেশনের মাধ্যমে শুরু হচ্ছে এ আয়োজন। এবারের আয়োজনে মূল প্রতিযোগিতার বিষয় ওয়েব ভালনারেবিলিটি অ্যাসেসমেন্ট।
পাশাপাশি ক্যাসপারস্কি বাগ বাউন্টিং প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে অর্থ জিতে নেওয়ার সুযোগ পাবে প্রতিযোগীরা।
৯ ডিসেম্বর সোমবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারের বেসিস অডিটরিয়ামে আয়োজিত প্রেস মিটে এ প্রতিযোগিতা শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ক্যাসপারস্কি সাউথ এশিয়ার রিটেইল সেলস ম্যানেজার শিবসঙ্কর খাড়াদে; ক্যাসপারস্কির পরিবেশক স্মার্ট টেকনোলজিসের সফটওয়্যার বিজনেস হেড মিরসাদ হোসেন; ওয়ালটন কম্পিউটারের ব্রান্ড ম্যানেজার মেহেদি হাসান; ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউটের হেড অব বিজনেস নাজিব রাফে; স্টার কম্পিউটার সিস্টেমস লিমিটেড-এর ম্যানেজার (মানবসম্পদ ও প্রশাসন) মুশফিকুল আলম খান, আইসিসি কমিউনিকেশন লিমিটেড-এর জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান; ইভ্যালির প্রতিনিধি সোলায়মান হোসেন শাওন , সাইবার সিকিউরিটি চ্যালেঞ্জ ২০১৯-এর আহ্বায়ক আব্দুর রহমান শাওন সহ আরো অনেকে।
‘বি দ্য আলটিমেট সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট’ স্লোগানে প্রতিযোগিতার টাইটেল স্পন্সর ক্যাসপারস্কি এবং পাওয়ার্ড বাই স্পন্সর ওয়ালটন কম্পিউটার।
এছাড়া কো-স্পন্সর হিসেবে রয়েছে ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউট, ইভ্যালি ও আইসিসি কমিউনিকেশন লিমিটেড এবং এসসিএসএল। আর স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে রয়েছে বেসিস, আইএসপিএবি এবং বাক্য। প্রতিযোগিতার মিডিয়া সহযোগী কনসিটো পিআর। প্রতিযোগিতার বিভিন্ন পর্ব ও গ্রুমিং সেশন লাইভ সম্প্রচার করবে ঢাকালাইভ।
সাইবার সিকিউরিটি চ্যালেঞ্জ ২০১৯ প্রতিযোগিতার আহ্বায়ক আব্দুর রহমান শাওন জানিয়েছেন, “প্রতিযোগিতায় দেশের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারবে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সর্বোচ্চ ৩ জন করে দল গঠনের মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা যাবে। সাইবার সিকিউরিটি চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণের জন্য আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পর ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, চট্টগ্রাম, রংপুর, কুমিল্লার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে সচেতনতামূলক কর্মশালা ও সেমিনার আয়োজিত হবে। নিবন্ধিত শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনলাইন ভিত্তিক বাছাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বাছাই পর্বে উত্তীর্ণ দলগুলো আগামী ২৮ ডিসেম্বর রাজধানীর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে”।
ক্যাসপারস্কি সাউথ এশিয়ার রিটেইল সেলস ম্যানেজার শিবসঙ্কর খাড়াদে বলেন, “ক্যাসপারস্কি অনেক আগে থেকেই বিশ্বে সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা বাংলাদেশেও কাজ করা শুরু করেছি। যাতে করে মানুষ নিশ্চিন্তে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে। এধরণের প্রোগ্রামের মাধ্যমে দক্ষ সাইবার নিরাপত্তা কর্মীও বেরিয়ে আসবে বলে তিনি আশা করেন।”
ওয়ালটন কম্পিউটারের ব্র্যান্ড ম্যানেজার মেহেদি হাসান বলেন, “এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি হবে এবং এসব সিকিউরিটির মাধ্যমে সহজেই ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে। এধরনের প্রোগ্রামের সহযোগী হতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত”।
আইসিসি কমিউনিকেশন লিমিটেড এর জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, “এই ‘ক্যাসপারস্কি সাইবার সিকিউরিটি চ্যালেঞ্জ ২০১৯’ শীর্ষক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশের জনগণ কিভাবে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে তার একটি সুস্পষ্টধারণা পাবে এবং দক্ষ সাইবার নিরাপত্তা কর্মীও গড়ে উঠবে”।
প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন দলের প্রত্যেকের জন্য ল্যাপটপ, প্রথম রানার্স আপ দলের জন্য স্মার্টফোন এবং দ্বিতীয় রানার্স আপ দলের জন্য পুরস্কার হিসেবে ট্যাবলেট পিসি দেওয়া হবে। পাশাপাশি থাকবে ক্রেস্ট এবং সনদপত্র দেওয়া হবে। বিজয়ী নারী দলের জন্য থাকবে বিশেষ সম্মাননা। এছাড়া বিজয়ী দলগুলোর সদস্যরা দেশের শীর্ষ আইটি প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্ন করার সুযোগ পাবে। দেশের পাশাপাশি বিদেশি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞরা প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া ক্যাসপারস্কি বাগ বাউন্টি প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে রয়েছে এক লাখ ডলার জেতার সুযোগ।
-শিশির