স্বাস্থ্যঃ
আপনার ব্যায়াম করার সময় নির্বাচন করুন আপনার প্রতিদিনের রুটিনের কথা মাথায় রেখে। একেকদিন একেক সময় ব্যায়াম না করার চেয়ে দিনের যেকোনো একটি সময় ব্যায়াম করা ভালো।
আপনি দিনের কোন সময় ব্যায়াম করবেন তার ওপরেই নির্ভর করবে কোন ধরনের ব্যায়াম আপনার জন্য উপযুক্ত। ব্যায়ামের সময় ও ধরনের মধ্যে ভারসাম্য রেখেই তৈরি করা উচিত ফিটনেট প্ল্যানিং। এর পাশাপাশি খাবারের সময়ের দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।
কারণ ব্যায়ামের সঠিক সময়ের সাথে খাওয়ার সময়ের সঠিক ভারসাম্য না থাকলে এক্সারসাইজের সুফল পাওয়া যায় না। দিনে 3 টি উপায়ে ব্যায়ামের নিয়মাবলী দেওয়া হলো এ থেকে আমি বেঁচে নিতে পারবেন কোনটি আপনার জন্য… ভোরবেলা : ব্যায়াম করার সময়ে শরীরে যথেষ্ট পজিটিভ এনার্জি থাকতে হয় এবং মনঃসংযোগ করতে হয়। তাই ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠেই ব্যায়াম করবেন না।
ঘুম থেকে ওঠার পর শরীরকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে অন্তত ৩ ঘণ্টা সময় দিন। সময়ের অভাবে ঘুম থেকে ওঠার আধঘণ্টার মধ্যে শরীরচর্চা করতে হলে হালকা জগিং করুন।
ভোরবেলা কোনো ব্যায়াম করতে হলে অবশ্যই তার আগে সঠিক ভাবে ওয়ার্ম আপ করুন। এ ব্যাপারে ফিটনেস এক্সপার্টের সঙ্গে আলোচনা করে নিন। ভোরবেলা এক্সারসাইজ করার পরিকল্পনা থাকলে আগের দিন অবশ্যই সঠিক সময়ে ঘুমান। দিনের বেলা : ঘুম থেকে ওঠার ৬ ঘণ্টা পর এবং ১২ ঘণ্টার মধ্যের সময়টি সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত শরীরচর্চার জন্য।
আপনি সকাল ৭টায় ঘুম থেকে উঠলে বেলা ১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে যেকোনো সময় ব্যায়াম করতে পারেন। প্রতিদিন দুই ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় ভারী ব্যায়াম করার পরিকল্পনা থাকলে অবশ্যই দিনের বেলার কোনো সময় বেছে নিন। দুপুরের খাবারের পর ব্যায়াম করলে ঠিক কতক্ষণ পর করবেন তা অবশ্যই ফিটনেস এক্সপার্টের সাথে আলোচনা করে নিন।
সন্ধ্যাবেলা : কাজ থেকে ফিরে সন্ধ্যাবেলা ব্যায়াম করতে পারেন। কিন্তু তার আগে যথেষ্ট বিশ্রাম নিন যাতে শরীরচর্চা করার সময় আপনার শরীরে কোনো রকম ক্লান্তিভাব না থাকে। সন্ধ্যাবেলা শরীরচর্চার জন্য যোগব্যায়াম বেশি উপযুক্ত। ট্রেডমিল, সাইক্লিং বা টুইস্টিং ইত্যাদি ধরনের ব্যায়াম করতে পারেন।
সন্ধ্যাবেলা ব্যায়াম শেষে ১৫ মিনিট মেডিটেশন করুন। ব্যায়ামের করার পর পরই শরীরের তাপমাত্রা এবং হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়।
এর ফলে শরীরের উষ্ণতা বাড়ে এবং শান্তভাব চলে যায়। তাই ঘুমাতে যাওয়ার ঠিক আগে কখনোই ব্যায়াম করা ঠিক নয়।
-এসকে