অনলাইন ডেস্কঃ
কুষ্টিয়া শহরের একটি বহুতল ভবনের তিনতলা ফ্ল্যাট থেকে সদর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার রাত ১১টার দিকে শহরের বাবর আলী গেট সংলগ্ন ওই ভবনের তিনতলা ফ্ল্যাটের রান্নাঘর থেকে গামছা দিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
তাকে ছুরিকাঘাত ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত সাব-রেজিস্ট্রারের নাম নুর মোহাম্মদ শাহ (৫৫)। তিনি ওই ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে একাই থাকতেন। তার বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়।
কুষ্টিয়া সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সন্তু বিশ্বাস জানান, রাত ১১টার দিকে বাড়ির মালিক পুলিশকে ফোন করে জানান তার ভবনের এক ভাড়াটিয়া হাত-পা বাঁধা অবস্থায় গুরুতর জখম হয়ে ঘরের মধ্যে পড়ে আছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাব-রেজিস্ট্রার নুর মোহাম্মদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক রাজিবুল হাসান জানান, হাসপাতালে আনার আগেই গুরুতর জখম ওই ব্যক্তি মারা যান। তার দুই হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন আছে।
বাড়ির মালিক হানিফ আলী জানান, সোমবার রাত ১১টার দিকে সিঁড়িতে মানুষের দৌড়ানোর শব্দ শুনে তিনি বাইরে বেরিয়ে আসেন। এসময় তিন যুবককে বাইরে যেতে দেখেন। প্রশ্ন করলে যুবকদের একজন বলেন সাব রেজিস্ট্রার স্যারের কাছে গেছিলাম। তিনি আপনাকে ডাকছেন। এসময় তার সন্দেহ হয়। পরে তিনি ওই ঘরে গিয়ে রান্নাঘরের মধ্যে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় নুর মোহম্মদকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাতসহ তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কিছু আলামতও সংগ্রহ করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে তদন্ত চলছে। এছাড়া বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করে দেখা হচ্ছে। খুব শিগগিরই অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে।
-আরবি