সারােদশঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ধর্ষিতার পরিবারকে সমাজচ্যুত করায় এক সর্দারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ওই সর্দারের নাম হেবজু মিয়া।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নির্দেশে নির্যাতিতার বাবা কসবায় উপজেলার বিশারাবাড়ীর গ্রাম্য সর্দারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দায়ের করেন।

কুফরী করে বাবা মাকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগীকে স্থানীয় মসজিদের ইমাম ওবায়দুল হক (৫০) একাধিকবার ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করা হয়। ২৪ অক্টোবর, শনিবার রাতে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়।

জানা গেছে, মসজিদের ইমাম ওবায়দুল হকের নিকট এক মাদরাসা ছাত্রীকে কোরআন শিখতে দেয়া হয়। এই সুযোগে বিভিন্ন কৌশলে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে তিনি। এমনকি কুফরী করে তার বাবা মাকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়েও একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় ভুক্তভোগীকে।

আরো জানা গেছে, এর এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী অন্তসত্বা হলে ওই ছাত্রীকে ফুসলিয়ে গর্ভপাতের ঔষধ খাওয়ান ওই ইমাম। এতে তার মৃত বাচ্চা প্রসব হয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে অভিযুক্ত ইমামকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন হেবজু মিয়া সর্দারসহ কয়েকজন সর্দার। ঘটনার পর হেবজু সর্দারের নেতৃত্বে সালিশের মাধ্যমে সমাজচ্যুত করে একঘরে করা হয় ধর্ষিতার পরিবারকে।

এ বিষয়ে পিবিআই পুলিশ সুপার মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, এ ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা কসবা থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের নামে কালক্ষেপন করায় ন্যায় বিচারের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে মামলা করেন নির্যাতিতার বাবা। এরপর আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে সুষ্ঠু তদন্তের নির্দেশনা দেন। বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে ধর্ষক ওবায়দুল হকে গ্রেপ্তারসহ ও নির্যাতিতার পরিবারকে সমাজচ্যুত করার নির্দেশদাতাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে উপজেলার সচেতন নাগরীক সমাজ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহিলা পরিষদ মানববন্ধন করে এবং পুলিশ সুপারের নিকট স্মারকলিপি পেশ করেন।

এ বিষয়ে কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ লোকমান হোসেন জানান, এ ঘটনায় নির্যাতিতার পরিবারকে সমাজচ্যুত করার বিষয়ে হেবজু সর্দারের নামে অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতার বাবা। এছাড়াও আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
-কেএম

FacebookTwitter

About Bangla Daily

একটি পরিপূর্ণ বাংলা অনলাইন পত্রিকা। মাতৃভাষার দেশ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সস্প্রচারিত হচ্ছে।

View all posts by Bangla Daily