কাল ছয় লেনের মধুমতি সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

কাল ছয় লেনের মধুমতি সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
কাল ছয় লেনের মধুমতি সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

জতীয় সম্পদঃ
দক্ষিণাঞ্চলবাসীর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত নড়াইলের কালনা পয়েন্টে ‘মধুমতি সেতু’ ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে ২০ হাজার লোকের সমাগমের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রস্তুতিমূলক সভা হয়।

সভায় জানানো হয়, ১০ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টায় লোহাগড়ার কালনা পয়েন্টে সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নড়াইলের দুই আসনের এমপি ও জেলা পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত থাকবেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে এ সেতু নির্মাণ হচ্ছে।

জাপানের টেককেন করপোরেশন ও ওয়াইবিসি এবং বাংলাদেশের আবদুল মোনেম লিমিটেড যৌথভাবে এ সেতুর ঠিকাদার।

প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, সেতুর মাঝখানে বসানো হয়েছে ১৫০ মিটার দীর্ঘ স্টিলের স্প্যান। নেলসন লোস আর্চ টাইপের (ধনুকের মতো বাঁকা) এ স্প্যানটি তৈরি হয়েছে ভিয়েতনামে।

ওই স্প্যানের উভয়পাশের অন্য স্প্যানগুলো পিসি গার্ডারের (কংক্রিট)। ছয় লেনের এ সেতু হবে এশিয়ান হাইওয়ের অংশ। চারটি মূল লেনে দ্রুতগতির ও দুটি লেনে কম গতির যানবাহন চলাচল করবে।

সেতুর দৈর্ঘ্য ৬৯০ মিটার ও প্রস্থ ২৭ দশমিক ১০ মিটার। উভয় পাশে সংযোগ সড়ক ৪ দশমিক ২৭৩ কিলোমিটার, যার প্রস্থ ৩০ দশমিক ৫০ মিটার। সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হবে ৯৫৯ দশমিক ৮৫ কোটি টাকা।

গত ২৫ জুন পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর নড়াইলসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের কাছে বড় আকর্ষণ কালনা সেতু। পদ্মা সেতু পার হয়ে এ অঞ্চলের মানুষের প্রবেশদ্বার হবে মধুমতি সেতু।

দৃষ্টিনন্দন এ সেতু হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম ছয় লেনের সেতু। এ সেতুর পূর্ব পাড়ে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা এবং পশ্চিম পাড়ে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা।

এ সেতু চালু হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ১০ জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৫ সালের জানুয়ারি সেতুর কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেছিলেন।

কালনা সেতুর প্রকল্প ব্যবস্থাপক ও সওজ নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুজ্জামান এ প্রতিনিধিকে সেতুর শতভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, কালনার অপর প্রান্তে সেতুতে টোল প্লাজার সব কাজ এবং ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শেষ হয়েছে।

গাড়ি চলার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত সেতুটি। ১০ অক্টোবর থেকেই গাড়ি চলবে সেতুতে। নদী শাসনের কাজ পর্যায়ক্রমে করা হবে।

-আরপি

FacebookTwitter