কাবা ফটকের নকশাকারের ইন্তেকাল

কাবা ফটকের নকশাকারের ইন্তেকাল
কাবা ফটকের নকশাকারের ইন্তেকাল

ইসলাম ধর্মঃ
বিশ্বের মুসলমানদের পবিত্র কাবা ঘরের দরজার নকশাকার প্রকৌশলী মুনির আল জুনদি আর নেই। ১৯ ডিসেম্বর, শনিবার জার্মানের একটি হাসাপতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। খাঁটি স্বর্ণ দিয়ে কাবা ঘরের একটি দরজা নির্মাণ করেন তিনি।

১৩৯৭ হিজরি বা ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে সৌদি আরবের তৎকালীন বাদশাহ খালেদ বিন আবদুল আজিজ খাঁটি স্বর্ণ দিয়ে পবিত্র কাবা ঘরের একটি দরজা নির্মাণের আদেশ দেন। আর সেই দরজা নকশাকার হিসেবে প্রকৌশলি মুনির আল জুনদিকে নির্বাচন করা হয়। এমন খবর প্রকাশ করেছে গলফ টুডে।

এদিকে দেশটির ইতিহাস বিশেষজ্ঞ মানসুর আল আসসাফ এক টুইট বার্তায় জানান, সৌদি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা বাদশাহ আবদুল আজিজ পবিত্র কাবার দরজা নির্মাণের দায়িত্ব মক্কার আলে বদর পরিবারের ওপর অর্পণ করেন। আর ওই দরজার নির্মাণ শেষ করতে প্রায় দেড় বছর সময় লাগে।

তিনি আরো জানান, এরপর ১৩৯৮ হিজরিতে বাদশাহ খালেদ বিন আবদুল আজিজ খাঁটি স্বর্ণ দিয়ে পুনরায় দরজা নির্মাণ করার জন্য আহমদ বিন বদরকে নির্দেশ দেন। ওই সময় তা প্রকৌশলি মুনির নকশা করেন। দরজার দৈর্ঘ তিন মিটার ও প্রস্থ দুই মিটার এবং পুরত্ব প্রায় অর্ধ মিটার। থাইল্যান্ডের ম্যাকা কাঠ দিয়ে দরজাটি তৈরি করা হয়। বর্তমাসে এটি বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান কাঠ বলেও উল্লেখ করেন মানসুর।

সিরিয়ার হেমস শহরে প্রকৌশলি মুনির আল জুনদির জন্ম। নকশাকার হিসেবে পবিত্র কাবার দরজার ওপর তার নাম লেখা রয়েছে।

এই দরজার নকশাটি জার্মানে প্রস্তুত করা হয়। তবে সৌদি সরকারের নির্দেশনা মতে নকশার কাজ অবশ্যই কোনো মুসলিম প্রকৌশলিকে করতে হবে, যেন তার নাম দরজা লিখে রাখা যায়। পরে প্রকৌশলি মুনির কাবার দরজা নকশা করার দায়িত্ব পান। আর সেই নকশা অনুযায়ী মক্কার ঐতিহ্যবাহী স্বর্ণাকার মাহমুদ বদরের কারখানায় এই দরজা নির্মাণ করা হয়।

-ডেআর

FacebookTwitter