কাজে যোগ দিয়ে কাদের যা বললেন

অনলাইনঃ

চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার পর প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে অফিস করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রবিবার সকাল ১০টার কিছু সময় পর তিনি সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে আসেন। মন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মন্ত্রণালয়ে আসার পর জরুরি ফাইলে সই করেন সেতুমন্ত্রী। পরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে ও দেশবাসীর দোয়ায় আমি বেঁচে আছি। আমার বেঁচে থাকা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন অনেকেই।’

তিনি বলেন, ‘আমি তো মরেই যেতাম। বেঁচে আছি। প্রথম ইনিংস শেষ করেছি। ইনশা আল্লাহ এবার দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করব। দ্বিতীয় ইনিংসে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, ঢাকা উড়ালসড়ক, ঢাকার যানজট নিরসন ও গণপরিবহনে শৃঙ্খলা।’

আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে সড়ক ব্যবস্থাপনা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এসময় তিনি বলেন, ‘ঈদকে সামনে রেখে এবারকার প্রস্তুতি অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো। এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে।’ এছাড়া আগামী ২৫ মে মেঘনা-গোমতি সেতু উদ্বোধন হবে বলেও জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় সংকটের জায়গা দুটি রুট। একটা হচ্ছে ঢাকা-গাজীপুর-টাঙ্গাইল উত্তরাঞ্চলের। এখানে সংকটটা হয়, এখানে যানজট হয়। মানুষের দুর্ভোগ হয়। ঘরমুখী যাত্রীরা সীমাহীন কষ্টের মধ্যে বাড়ি যান।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রামেও সমস্যা হয় মূলত তিনটি ব্রিজের কারণে। আমার অনুপস্থিতিতে কাঁচপুর ব্রিজের শুভ উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী করেছেন। আগামী ২৫ মে মেঘনা-গোমতি সেতু উদ্বোধন হবে। এরপর ঢাকা-চট্টগ্রাম ঈদের সময় যে দুর্ভোগ-ভোগান্তি এইগুলো কমে যাবে। সম্পূর্ণ সহনীয় মাত্রায় থাকবে-এটা আমরা বলতে পারি। আমাদের গাজীপুর থেকে টাঙ্গাইল অংশে এখানেও ভোগান্তি কম হবে।’

সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, ‘শরীরের কথা ভেবে আমি প্রত্যক্ষভাবে সক্রিয় না হলেও কাজের অগ্রগতি থেমে থাকবে না। আমার এখানে একটা টিমওয়ার্ক আছে। আমার পার্টিতেও একটা টিমওয়ার্ক আছে।’

মন্ত্রী জানান, ২৫ মে গাজীপুর কোনাবাড়ী ও চন্দ্রায় দুটি উড়ালসড়ক ও চারটি আন্ডারপাস উদ্বোধন করা হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম পথে দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতী সেতু উদ্বোধন হবে। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তা উদ্বোধন করবেন। আশা করা যায়, এবারের ঈদে আর যানজট হবে না।’

প্রসঙ্গত, গত ৩ মার্চ সকালে বুকে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি হন ওবায়দুল কাদের। সেখানে এনজিওগ্রাম করার পর তার করোনারি ধমনিতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। সেদিন তাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরে উপমহাদেশের বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠির পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৪ মার্চ তাকে সিঙ্গাপুর নেয়া হয়। সেখানে দীর্ঘ দুই মাস ১০ দিন সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে গত বুধবার দেশে ফেরেন ওবায়দুল কাদের।

FacebookTwitter