মিলি সুলতানা, কুইন্স, নিউইয়র্ক থেকেঃ
ছবিটির পটভূমি কত মর্মান্তিক, বিস্তারিত না জানলে বুঝতে পারা যাবেনা। কাজল নামে যৌনকর্মী এই মায়ের কোলে তার শিশুসন্তান। পাশে উপুড় হয়ে ঘুমাচ্ছে খদ্দের।
আরও নিষ্টুরতার ব্যাপার হল সন্তান জন্মদানের দুই সপ্তাহ পর কাজলকে বাধ্য করা হয়েছে খদ্দেরদের মনোরঞ্জন দিতে। শিশুটির চেহারা জুম করে দেখলাম, খুব কষ্ট হল। নিস্পাপ ফুলের মত এই শিশু জানেনা একজন যৌনকর্মী তাকে গর্ভে নিয়েছে। এবার ছবি জুম করলাম কাজলের মুখ। পুরো চেহারা দেখা যাচ্ছেনা। তবে যেটুকু দেখা, সেটুকুই তার বুকের যন্ত্রণা বুঝিয়ে দিতে যথেষ্ট। মা সে যেমনই হোক, মা তো! বাধ্য হয়ে শরীর বিক্রি করে জীবিকা চালাচ্ছে। কিন্তু সন্তানের জন্য স্নেহ মমতার কমতি নেই। সব মায়ের স্নেহ মমতার রঙ একই। কোনো বৈপরীত্য নেই।
জার্মানির ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার সান্দ্রা হোয়াইনের কিছু ফটোগ্রাফ ব্যাপক খ্যাতি ছড়িয়েছিল। সান্দ্রা টাঙ্গাইলের কান্দাহার পতিতাপল্লীর স্তরে ঢুকে গিয়েছিলেন যৌনকর্মীদের জীবনধারা ক্যামেরাবন্দী করার জন্য। প্রথমে সান্দ্রাকে বেগ পেতে হয়েছিল যৌনকর্মীদের সমাজে মিশে যেতে।
অনেক সময় সান্দ্রা ও তার সহকর্মীকে বিরুপ পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল। একাগ্রতার সাথে সব প্রতিকূলতা জয় করেন সান্দ্রা হোয়াইন। তিনি দ্যা সনি ওয়ার্ল্ড ফটোগ্রাফি এওয়ার্ড লাভ করেন।
-শিশির