আইন আদালতঃ
দুই মামলায় ১ বছরের কারাদণ্ড দেয়ার পর ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিম এবং তার দেহরক্ষী মো. জাহিদকে কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মামুন।
কারাগারে আনার পরপরই ইরফানসহ তার দেহরক্ষী জাহিদের দেহ তল্লাশির পর নিয়ম অনুযায়ী কারাগারে করোনাভাইরাস সতর্কতার জন্য ভেতরে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এর আগে গতকাল অবৈধ অস্ত্র ও মাদক রাখার দায়ে ৬ মাস করে এই কারাদণ্ড দেয়া ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া তার দেহরক্ষী জাহিদুল ইসলামকেও ৬ মাস করে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
২৬ অক্টোবর, সোমবার র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলমের ভ্রাম্যমাণ আদালত এই দণ্ডাদেশ দেন।
গতকাল সন্ধ্যায় এ বিষয়ে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট তথ্য ও আলামতের ভিত্তিতে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনা করার পর তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আজ দুপুরে সাড়ে ১২টায় অভিযান শুরু করা হয়।’
এর আগে হাজী বাড়িতে অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র,মদ, বিয়ার ও ওয়াকিটকিসহ বিপুল পরিমাণ নিরাপত্তা সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে র্যাব।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর কলাবাগানে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীকে মারধোর ও হত্যার হুমকির মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ও ডিএসসিসি ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ এরফান সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
-কেএম