অনলাইনঃ
প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা সেবাগ্রহিতা নাগরিকদের ‘স্যার’ সম্বোধন করবেন-এমনটা চায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, ‘দুদকের গণশুনানিতে জনগণের কাছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রত্যক্ষভাবে জবাবদিহি করতে হচ্ছে। এর মাধ্যমে জনগণই যে রাষ্ট্রের মালিক, সেটা প্রত্যক্ষভাবে অনুধাবন করা যাচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা চাই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা সেবাগ্রহীতা নাগরিকদের “স্যার” সম্বোধন করবেন।’
বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অক্সফাম ইন্টারন্যাশনালের গ্লোবাল প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ফ্রাঙ্ক করটেডার নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘দুদক ও অক্সফাম যৌথ অংশীদারিত্বে দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টিতে কার্যকর ও দৃশ্যমান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারে, যাতে জনগণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে উচ্চকিত কণ্ঠে প্রতিবাদ করতে পারে। জনগণের দুর্নীতিবিরোধী তীব্র আকাক্ষাই দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারে।’
এদেশের ২৬ হাজারের বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান দুর্নীতি বিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অক্সফাম বাংলাদেশের অংশীদারিত্বের প্রশংসা করে দুদক চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, ‘দুদকের এই কর্মপ্রক্রিয়ায় অক্সফামের অংশগ্রহণে আমরা খুশি। কমিশন এ জাতীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের তরুণ প্রজন্মের মাঝে সততা ও নৈতিক মূল্যবোধ গ্রোথিত করার চেষ্টা করছে। নৈতিক মূল্যবোধবিহীন উন্নয়ন কোনো কোনো ক্ষেত্রে অর্থহীন হয়ে যেতে পারে। কমিশন সমাজের সর্বস্তরে নৈতিকমূল্যবোধ আরো বিকশিত করতে বহুমাত্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।’
এসময় অক্সফাম প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জানান, তারাও তৃণমূল পর্যায়ে বিশেষ করে ত্রাণ, নদী ভাঙ্গণ, পরিবেশসহ বিভিন্ন ইস্যুতে গণশুনানি করে থাকেন। এসব গণশুনানির মাধ্যমে তারা দুর্নীতির অনেক তথ্য পেয়ে থাকেন। এ জাতীয় তথ্য দুদক গ্রহণ করলে, তারা সরবরাহ করতে পারে যা প্রান্তিক পর্যায়ে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- দুদকের প্রশিক্ষণ ও আইসিটি অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল, অক্সফাম এর কান্ট্রি ডিরেক্টর দীপঙ্কর দত্ত, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মাহফুজা আক্তার, সিনিয়র ইনফ্লুয়েনসিং অফিসার মেহবুবা ইয়াসমিন প্রমুখ।