সারােদশঃ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে করোনাভাইরাসের উপসর্গ সর্দি-কাশি ও জ্বর আক্রান্ত হয়ে ২৩ বছর বয়সী এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
২৬ মার্চ, বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার চৌমুহনী পাবলিক হলের পাশের একটি ভবন ওই যুবকের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর কোয়ারেন্টাইন ঘোষণা করে ওই ভবনটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ।
জানা গেছে, ওই মৃত যুবক চৌমুহনীতে এক চিকিৎসকের চেম্বারে সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। গত এক সপ্তাহ ধরে তিনি জ্বরে ভুগছিলেন। গত দুদিন ধরে এক মেডিসিন বিশেষজ্ঞের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী চিকিৎসা চলছিল তার। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে বমির সঙ্গে রক্ত যেতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে স্বজনরা তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই যুবক যে চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি জানান, গত মঙ্গলবার তার কাছে নিয়ে আসার পর জানতে পারেন ওই যুবক ছয়-সাত দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। তিনি অবস্থা জানার পর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেন। সন্ধ্যায় তার বমি হচ্ছে এবং সঙ্গে রক্ত যাচ্ছে জানানোর পর তিনি দ্রুত জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন।
এ বিষয়ে জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, ‘হাসপাতালে এক যুবককে আনার পর জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। খুব সম্ভবত তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।’
এ বিষয়ে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার দাস বলেন, ‘বিষয়টি আইইডিসিআরকে জানানো হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ভবনটি হোম কোয়ারেন্টিন ঘোষণা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে রাখা হয়েছে।’
উপজেলা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ বলেন, ‘স্থানীয় প্রশাসন চৌমুহনী পাবলিক হলের পাশের ভবনটি কোয়ারেন্টিন ঘোষণা করার পর ঘিরে রাখা হয়েছে।’
-কেএম