মিলি সুলতান, কুইন্, নিউইয়র্ক থেকেঃ

মাস্ক, সাবান আর স্যানিটাইজার। এই তিন প্রধান অস্ত্রেই কোভিড-১৯- কে ঘায়েল করার চেষ্টা চলছে। লকডাউন চলাকালীন তো বটেই, তা উঠলেও এই সাবধানতাগুলো আমাদের মেনে চলতে হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তবে শুধু এটুকুই যথেষ্ট নয়। লকডাউন চলাকালীন বাইরে বেরতে হলে বা লকডাউন উঠলেও কোনও কাজে বাইরে গেলে মেনে চলতে হবে বিশেষ কিছু নিয়ম। প্রতিষেধক বা ওষুধের দেখা না পাওয়া পর্যন্ত বদলে ফেলতে হবে পুরনো জীবন যাপনের অনেকটাই।

বিকেল হলেই স্ন্যাক্স বা ক্যাফে রেস্তোরাঁ প্রিয় মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে আরও কয়েক মাস। সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ দেবতনু লাহিড়ীর মতে, ‘‘প্রতিষেধক বা ওষুধ না মেলা অবধি বাড়িতে বানানো খাবার খাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। রান্না করা খাবারে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব থাকে না ঠিকই, কিন্তু কী ভাবে খাবার প্যাক হচ্ছে, কী কী উপাদান দিয়ে রান্না হচ্ছে এ সব জানা যায় না। যিনি রান্না করছেন বা প্যাক করছেন, তিনি উপসর্গবিহীন সংক্রামক কি না, রান্না বা প্যাকিংয়ের সময় খাবারে কোনও ভাবে তাঁর ড্রপলেট মিশছে কি না এমন অনেক প্রশ্নই থেকে যায়। কাজেই এসব খাবার এখন এড়িয়ে চলুন।’’

বাজার দোকান করার জন্য বাইরে যেতে হলে খুব দরকার না পড়লে বাড়িতে মোবাইল রেখে যান। যাঁদের অফিস করতে হয়, তাঁরা মোবাইল রাখুন ব্যাগের মধ্যে। খুব দরকার না হলে ফোন বার করবেন না। মোবাইল থেকেও সংক্রমণ ছড়ায়। বাড়ি ফিরে অ্যান্টিসেপটিক লোশনে তুলো ভিজিয়ে মুছে নিন মোবাইল। স্যানিটাইজার লাগিয়েও পরিষ্কার করতে পারেন ফোন। সেক্ষেত্রে তুলোয় করে স্যানিটাইজার লাগিয়ে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিন ফোন। মোবাইলের কভার আলাদা করে সাবান দিয়ে কচলে ধুয়ে নিন, সাবানজলেও ধুয়ে নিতে পারেন

পুলিশ প্রশাসনে ‘তত্ত্বাবধায়ক’ পদ নিয়ে ধোয়াঁশা

এই সময় হাতে কোনও রকম গয়না পরবেন না। হাতে ঘড়ি, আংটি, পাথর পরার অভ্যাস রয়েছে অনেকের। এই ক’দিন সে সব অভ্যাস সরিয়ে রাখাই ভাল। বিশেষজ্ঞদের মতে, যে কোনও ধাতব জিনিসে এই ভাইরাস থেকে যায় অনেক ক্ষণ। তাই আংটি-পাথর থেকে সংক্রমণ ছড়ায়। তা ছাড়া এ সব হাতে থাকলে হাত ধুতেও অসুবিধা হয়।

-শিশির

FacebookTwitter

About Bangla Daily

একটি পরিপূর্ণ বাংলা অনলাইন পত্রিকা। মাতৃভাষার দেশ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সস্প্রচারিত হচ্ছে।

View all posts by Bangla Daily